পোলার্ডের ফিফটিতে ম্লান রাহুলের সেঞ্চুরি

pollard-samakal-5cae4178ebb39

পাঞ্জাবের দুই ওপেনার কেএল রাহুল এবং ক্রিস গেইল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। দু’জনের ব্যাটিং ঝড়ে বড় রানও পায় পাঞ্জাব। কিন্তু পোলর্ডের এক ফিফটি তাদের দু’জনের ইনিংস ম্লান করে দিয়েছে। তাতে গেইলের ফিফটি তো বটেই, রাহুলের সেঞ্চুরিও বৃথা গেছে। শেষ ওভারের শেষ বলে তিন উইকেটের দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই।

প্রথমে ব্যাট করে পাঞ্জাব এ ম্যাচে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান তোলে। কেএল রাহুল এ ম্যাচে ৬৪ ম্যাচে পুরো ১০০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ছয়টি করে চার এবং ছয় মারেন তিনি। এছাড়া তার ওপেনিং সঙ্গী গেইল খেলেন ৩৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। ছক্কা মারতে পটু উইন্ডিজ বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান সাতটি ছক্কা এবং তিনটি চার মারেন।

তাদের রান আরও বড় হতে পারত। তবে শেষ সাত ওভারে খুব বেশি রান তারা করতে পারেনি। উইকেট হাতে রেখেও তাই দুইশ’ রানের আগে থামে পাঞ্জাবের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই খুব ভালো শুরু করতে পারেনি। ওপেনিংয়ে রোহিতের বদলে ব্যাট করা সিদ্ধার্ত ল্যাড দলের ২৮ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন। ডি কক ভালো শুরু করে ২৮ রানে ফেরেন।

দলের ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মুম্বাই। এরপর রোহিতের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া পোলার্ড দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। তিনি খেলেন ৩১ বলে ৮৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ওই ইনিংস গড়ার পথে পোলার্ড ছক্কা হাঁকান গুনে গুনে দশটি। চারের মার মারেন মাত্র তিনটি।

তিনি ইনিংসের শেষ ওভারে তিন বল থাকতে আউট হন। জয় হতে দু’পা দূরে থাকা মুম্বাই শঙ্কায় পড়ে যায়। তার আগে ইশান কিশান-হার্ডিক পান্ডিয়ারা ভালো সঙ্গ দিয়ে আউট হয়ে গেছেন। শেষ দুই ওভারে ৩২ রান দরকার ছিল মুম্বাইয়ের। আগের এক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে ম্যাচ জেতানো স্যাম কারেন ১৯তম ওভারে পোলার্ডের সামনে ১৭ রান খান।

শেষ ওভার থেকে আংকিত রাজপুতের বলে ১৫ রান নিয়ে নেন পোলার্ড-আলজারি জোসেপ। পোলার্ড আউট হওয়ার পরে ৩ বলে ৪ রান দরকার ছিল মুম্বাইয়ের। সেখান থেকে এক বলে দুই রান। তবে শেষ বলে দুই রান নিয়ে নেন জোসেপ। তিন উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুম্বাই।

Pin It