নিখুঁত লাইন-লেংথ, ছোট ছোট সুইং আর গতি বৈচিত্রে নাকাল ব্যাটসম্যান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বেসামাল বোলার। ফরহাদ রেজার সামনে এখন এটিই প্রতিপক্ষের নিয়মিত চিত্র। দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় আবারও দলকে জিতিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
৪ উইকেট নিয়ে বোলারদের মধ্যে শীর্ষস্থান আরও সংহত করেছেন ফরহাদ। এরপর খেলেছেন ম্যাচ জেতানো মারকুটে ইনিংস। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোটিং ক্লাব।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার প্রাইম ব্যাংককে ১৬৯ রানে থামিয়ে প্রাইম দোলেশ্বর জিতেছে ৩৮ বল বাকি রেখে।
ফরহাদ নিজের ছাপ রাখতে শুরু করেন ম্যাচের শুরুর দিক থেকেই। প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার এনামুল হক ও তিনে নামা ভারতীয় ব্যাটসম্যান নামান ওঝাকে ফেরান দ্রুতই। নতুন বলে ফরহাদের সঙ্গী মানিক খানের শিকার আরেক ওপেনার রুবেল মিয়া।
৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আল আমিন ও অলক কাপালী। তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৮৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় প্রাইম ব্যাংক।
এরপর আরিফুল হকের ২৭ ও মনির হোসেনের ২৩ রানে প্রাইম ব্যাংক যেতে পারে ১৬৯ রান পর্যন্ত।
৪ উইকেট নিয়ে ফরহাদ রেজা এবারের লিগে নিজের শিকার নিয়ে গেছেন ৩৩ উইকেটে।
প্রাইম দোলেশ্বরের রান তাড়ায় কখনই খুব একটা ভুগতে হয়নি। ওপেনিংয়ে সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫ রান। জসিম উদ্দিন ও ফরহাদ হোসেনরা বড় রান না পেলেও গড়ে তুলেছেন জুটি।
তবে রান রেট খুব ভালো ছিল না। সেই দাবি মেটাতেই ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দিয়ে ফরহাদ রেজাকে নামানো হয় পাঁচে। তিনি দারুণ সাড়া দিয়েছেন প্রত্যাশিতভাবেই। ৬ চার ও ২ ছয়ে ২৪ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংসে শেষ করে দেন ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক: ৪৮.১ ওভারে ১৬৯ (রুবেল ০, এনামুল ৫, ওঝা ০, আল আমিন ৩২, অলক ৬১, নাহিদুল ৪, আরিফুল ২৭, নাঈম ৩, মনির ২৩, রাজ্জাক ০, আল আমিন ২*; ফরহাদ রেজা ৯.১-২-২২-৪, মানিক ৯-২-২৮-২, আরাফাত সানি ১০-০-৩৬-১, এনামুল জুনিয়র ১০-০-৩৭-১, জাকারিয়া ৫-০-২৮-০, তাইবুর ৫-১-১০-২)।
প্রাইম দোলেশ্বর:
৪৩.৪ ওভারে ১৭২/৩ (সাইফ ৫৫, জসিম ২১, ফরহাদ হোসেন ২২, মার্শাল ২৫*, ফরহাদ রেজা ৪১*; আল আমিন ৮-১-৩১-০, আরিফুল ৩-০-২৭-১, মনির ১০-১-২৩-১, রাজ্জাক ১০-০-৩৩-০, নাঈম ৮-১-২৮-১, অলক ১-০-৮-০, নাহিদুল ৩.৪-০-১৯-০)।
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ক্রিকেট ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ফরহাদ রেজা