প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। মূল্যবোধ, ধর্ম, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও অনেক অভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে এ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছি।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে ব্রুনাইয়ের সরকারি বাসভবন ইসতানা নূরুল ইমানে রয়েল ব্যাঙ্কুয়েট হলে সুলতান আলহাজ হাসানাল বোলকিয়ার দেওয়া এক ভোজসভায় এ কথা বলেন তিনি। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, এই মহান দেশটি সফর করা আমার জন্য একটি বিশাল উপহার। এটি একটি শান্তির আবাস ভূমি, যেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শত শত বছরের ঐতিহ্য আধুনিকতাকেও হার মানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯০ দশকের গোড়ার দিকে ব্রুনাইয়ে তার সফরের কথা স্মরণ করেন। সে সময়ে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ব্রুনাইয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই আমি দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট করতে ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের আবাসিক মিশন পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিই। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় আবাসিক মিশন করায় ব্রুনাইয়ের সুলতানকে এ সময় ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সামাজিক সেক্টরে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশের মর্যাদা লাভের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে এক সঙ্গে কাজ করতে আমরা উভয় দেশই সম্মত হয়েছি।
ব্যবসায়িক ফোরামে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠকে সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে আলোচনা করবেন।
এ সময় ব্রুনাইয়ের সুলতান আলহাজ হাসানাল বোলকিয়াকে তার ম্যাজেস্টি দুলি রাজা ইসতেরিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।