দুর্নীতিবাজদের কিছু হয় না, এদের প্রমোশন হয়। বনখেকো ওসমান গনি কারাগার থেকে বের হয়ে গেছেন। যে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করল, তাকে প্রমোশন দেয়া হল। তার চেয়ে দুঃখজনক কী হতে পারে।
চট্টগ্রামের রেলওয়ের সম্পত্তি লিজ নিয়ে দায়ের করা এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এমন মন্তব্য করেন। শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, শুনানিতে আদালত বলেছেন, আজ বঙ্গবন্ধুকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্ত জাতির পিতার অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারে না। বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না, স্বাধীন দেশ পেতাম না।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, চট্টগ্রামের হালিশহর রেলওয়ে ট্রেনিং একাডেমির চারটি কাজের লিজ নেয় সিলভার জুবলি নামে একটি কোম্পানি। পরে ওই কোম্পানি লিজের শর্ত ভঙ্গ করলে ৮ এপ্রিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন রেক্টর আমজাদ হোসেন। কিন্তু ওই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেয়ার আগেই লিজের চুক্তি বাতিল করেন সেই একই ব্যক্তি। পরে এ চুক্তি বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ওই কোম্পানি।
এ নিয়ে শুনানিতে রোববার আদালত বলেন, যে ব্যক্তি ১৫ দিনের সময় দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করলেন, সেই একই ব্যক্তি ১৫ দিনের আগেই কীভাবে চুক্তি বাতিল করল? সেখানে তো দেখা যাচ্ছে সরষের মধ্যে ভূত। আদালত শুনানি শেষে চুক্তি বাতিলের আদেশে স্থগিতাদেশ দেন।