আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে বা জালিয়াতির চেষ্টা করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাঈদ খোকন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কম থাকবে। এ জন্য ডিএসসিসির আওতাধীন কাঁচাবাজারগুলোতে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হবে। রোববার বেলা ১১টায় ডিএসসিসির নগর ভবনে আসন্ন রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, তেল ও আটা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘বৈঠকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য মজুত রয়েছে। আসন্ন রমজানের পরও সামনের পূজায় এসব পণ্য তাঁরা সরবরাহ করতে পারবেন। ফলে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে বিশেষ করে ছোলা, চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও আটার দাম বাড়বে না। গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা কম থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ডিএসসিসির অধীনে অনেকগুলো কাঁচাবাজার রয়েছে। সেগুলোতে দ্রব্যমূল্য যাতে লাগামহীন না হয়, সেটি পর্যবেক্ষণ করবে ডিএসসিসি। যদি কোনো ব্যবসায়ী পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বা জালিয়াতির চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মধ্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ডিএসসিসি ‘শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি’ অবলম্বন করবে।
এ সময় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, ‘বাজারে বিভিন্ন প্রকারের ছোলা বিক্রি হয়। যেগুলো দেখতে একেবারেই পরিষ্কার সেগুলো ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু যেসব ছোলা নরমাল বা দেখতে একটু কালচে সেগুলো পাইকারি ও খুচরা ভেদে ৫৫-৬২ টাকায় বিক্রি হয়। একইভাবে তেল ও মসুর ডালের ক্ষেত্রেও তা বিদ্যমান। তাই বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি বলার আগে অবশ্যই আপনাদের (ক্রেতাসাধারণ) দেখতে হবে যে কোন দ্রব্যটির দাম কত। এ জন্য সব চেয়ে ভালো উপায় হলো, সিটি করপোরেশনের মূল্য তালিকা খেয়াল করা।’
এই বৈঠকে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি আবুল হাসেম, বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।