ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত থেকে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব ধরনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারি সফরে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার সকালে ভারতের ওড়িষ্যা ঊপকূলে আঘাত হানার পর সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশে পৌঁছাতে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হানলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সব বিভাগকে সব ধরনের পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের এবং সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনের রাজধানীতে থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটর করছেন।”
ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে ঊপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের রক্ষায় নানামুখী তৎপরতা চলছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক আনঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯ উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গে তারা মানুষদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসবে।
উপকূলীয় ১৯ জেলায় তিন হাজার ৮৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। বেশিরভাগ আশ্রয় কেন্দ্রই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, “ভালো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, আমরা মোকাবেলা করতে পারব, প্রাণিসম্পদও রক্ষা করতে পারব।”