আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, চলমান বিচারাধীন মামলা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে বাধা নেই। তবে মামলা আছে, কিন্তু কার্যক্রম স্থগিত- এমন মামলার বিষয়ে রিপোর্টিং বা ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, চলমান মামলা নিয়ে রিপোর্টিং করা যাবে। কিন্তু ওই মামলা নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া হলে বিচারকরা এক ধরনের চাপ অনুভব করেন এবং পত্রিকাই ট্রাইব্যুনালে পরিণত হয়। সুপ্রিম কোর্টের নোটিশে এটাই বলা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের বাংলাদেশ প্রতিনিধি, জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে দাবি করে আনিসুল হক বলেন, তাদের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মানবাধিকারের দিক থেকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য সম্ভাব্য সবকিছু আমরা করব।
হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিচারাধীন মামলার সংবাদ পরিবেশনে বিরত থাকার বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সাব-জুডিস কথাটার একটা অর্থ আছে। সাব-জুডিস হচ্ছে এমন মামলা, যা বিচারাধীন; কিন্তু বিচার কার্যক্রম চলছে না। মামলা যেটা বিচারাধীন আছে, কিন্তু বিচার কার্যক্রম চলছে না- এমন মামলার ব্যাপারে মতামত না দেওয়ার বিষয়টিই বলেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, একটা মামলা চলছে, সেটার ব্যাপারে রিপোর্টিং বন্ধ করতে হবে। আমার মনে হয় না, সুপ্রিম কোর্ট এই কথা বলেছেন। আপনারা মামলার রিপোর্ট করতে পারেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে সাইবার অপরাধ বন্ধের জন্য, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য নয়। তবে এ আইনে দায়ের হওয়া মামলা মনিটরিংয়ে শিগগিরই একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে।
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কবি হেনরী স্বপন গ্রেফতার হওয়ায় আইনমন্ত্রী বলেন, মনিটরিংয়ে দেখা গেছে, তাদের মামলাগুলো এ ধারায় পড়ে না। তাই তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।