এবার ঈদে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিপরীতে ‘পাসওয়ার্ড’ চলচ্চিত্রে বড়পর্দায় হাজির হচ্ছেন চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলী। চলচ্চিত্রটির মুক্তির আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বললেন বছর তিনেক আগে সংবাদ পাঠিকা থেকে অভিনয়ে নাম লেখানো এ চিত্রনায়িকা।
‘পাসওয়ার্ড’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
শিল্পীর প্রত্যেকটা কাজই স্পেশাল। ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটাও তেমন। ছবিটা এমন লাগবে, ছবিটা তেমন লাগবে- এ ধরনের কিছুই বলতে চাই না। ‘পাসওয়ার্ড’ এখন পুরোপুরি লক করা। ঈদের দিনই আনলক হবে।
আমি চাইব, দর্শকরা কোনো রকম পূর্ব ধারণা ছাড়াই হলে গিয়ে ছবিটা দেখুক।…একেক দর্শক একেক রকম ছবি পছন্দ করেন। অনেকে কমার্শিয়াল ছবি পছন্দ করেন, অনেকে আবার অফ ট্র্যাক ছবি পছন্দ করে। আমি চাই, দর্শকরা ছবিটা যেন তাদের মতো করে দেখেন।
এখন ছবি দেখার আগেই অনেকে অনেক কিছু বুঝে ফেলেন। মানে উনারা এতো জ্ঞানী (হাসি)। বিষয়টি আমার ভালোও লাগে; ছবি নিয়ে অনেক অনেক ধরনের কমেন্ট করে। কিন্তু আমি চাই, যারা ছবিটা নিয়ে বলতে চায় তারা যেন হলে গিয়ে ছবিটি দেখার পর বলেন। যাদের ভালো লাগবে তারা যেন প্রশংসায় কোনো কৃপণতা না করেন। আর যাদের কম ভালো লাগবে তারা যেন গঠনমূলক সমালোচনা করেন।
ছবিটি মুক্তির দিনে আপনার পরিকল্পনা কী?
লোকাল হলে আমি বরাবরই সিনেমা দেখি। ক্রাউডের মধ্যেই ছবিটি দেখব। নিজের কাজ বড়পর্দায় দেখলে অনেক কিছু শেখা যায়। এটা আসলে মিস করতে চাই না।
আগের চলচ্চিত্রগুলোর মতো এটাতেও আপনার সহশিল্পী শাকিব খান; বিষয়টি এখন বহুল চর্চিত। বাকি অভিনেতাদের বিপরীতে আপনাকে দেখা যায় না কেন?
বিষয়টি নিয়ে অনেকবারই কথা হয়েছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে একেকটা ঘরানা আছে। যেমন, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কিছু আর্টিস্ট আছে। কাজের ক্ষেত্রে আরিফিন শুভ, বাপ্পীসহ সবার নিজস্ব একটি টিম আছে। সেইদিক থেকে দেখা যায়, আমার সঙ্গেই শাকিব খানের কাজগুলো আসে। অনেক প্রডিউসাররা হয়তো ভাবেন, পরের কাজটাও এই টিমটাকে নিয়েই করি। বরাবরই এমনটিই হয়ে আসছে।
আমি যদি শাকিব খানের বিপরীতে কাজের অফার পাওয়ার পর কাজটি না করি তাহলে সেটা নিয়েও সংবাদ হবে। অনেকে বলবেন, ওনাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়েছে, কেন কাজ করতে চাইছেন না! একসঙ্গে কাজ করলেও অনেকে অনেক কথা বলছে আবার কাজ না করলেও অন্যভাবে নিউজ করছেন।
তবে আমি চাই, ভালো কাজ দরকার। অন্য হিরোর বিপরীতে ভালো কনটেন্টের অফার পাওয়ার পর যদি সেটি না করি তাহলে বিষয়টি নিয়ে বলা যায়। কিন্তু আমার কাজগুলো বরাবরই শাকিব খানের সঙ্গেই আসছে। শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে আমি কিন্তু খুব বেশি সিনেমা করিনি। আমরা বছরে বড়জোর দুই-তিনটা কাজ করি। শাকিব খানের সঙ্গে অন্যান্য নায়িকাদের ৩০-৪০টার মতো কাজ আছে।
তাহলে আপনাদের নিয়ে দর্শকদের নানা প্রতিক্রিয়ার কারণ কী?
আমাদের সময়ে স্যোশাল মিডিয়া খুব সক্রিয় বলে অনেকে মন্তব্য করতে পারছেন। কিছুদিন আগেও কিন্তু এমনটা ছিল না। স্যোশাল মিডিয়ার কারণেই বিষয়গুলো সবার চোখে পড়ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনাকে নিয়ে দর্শকদের সমালোচনাকে কীভাবে দেখেন?
আমার ভীষণ ভালো লাগে। লাভারস, হেটারস থাকবেই। ক্রিকেটার থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও হেটারস থাকেন। শুধু যে লাভারস থাকে তা কিন্তু না। লাভাররা যেমন কাজের প্রশংসা করে প্রচার করে হেটাররাও কিন্তু অজান্তেই আমার প্রচার করেন। আমার নাম নিয়ে বলছে কিংবা আমাদের ছবি নিয়ে বলছে। তারাও কিন্তু আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। দুই পক্ষকেই সমানভাবে ভালোবাসি। আমি চাই, হেটারদের সমালোচনাটা যেন গঠনমূলক হয়।
তিন বছরের ক্যারিয়ারে আপনার নিন্দুক যেমন তৈরি হয়েছে শুভাকাঙ্ক্ষীও কম নেই…
ওনাদের জন্যই আসলে কাজ করা।
তিন বছর কাটিয়ে দিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে। অভিনয় নিয়ে আপনার এখনকার পরিকল্পনা কী?
একটা মাধ্যমে কাজ করতে গেলে পরিস্থিতি বুঝতে সময় লাগে। তিন-চার বছরে অনুভব করলাম, এখন অনেক বছর ধরে ভালো ছবিও হয় না। নব্বইয়ের দশকে যেমনটা আমরা দেখতাম আরকি। তারপরও আমি ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করে যেতে চাই। এখন আমি শুধু সিনেমা নিয়েই ভাবছি। আরও ভালো ভালো কাজ দর্শকদের উপহার দিতে চাই।