ভারতের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপির দারুণ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া অমিত শাহই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডানহাত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে মোদী তার পরীক্ষিত এই সহযোদ্ধাকেই বেছে নিয়েছেন।
গত মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা রাজনাথ সিংকে এবার দেওয়ার হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা নির্মলা সীতারামান পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়া প্রথম নারী নির্মলা এবার দেশটির প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন।
দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে আগেরবারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাদ পড়া নিশ্চিতই ছিল। একই কারণে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও এবার বাদ পড়েছেন।
তবে নির্মলার অর্থ মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া কিছুটা অপ্রত্যাশিতই ছিল।
প্রথমবারের মত মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া কূটনীতিক এস জয়শঙ্কর এসেই বাজিমাত করেছেন। পররাষ্ট্রের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
কংগ্রেসের ঘরের মাঠ আমেঠীতে খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে দেওয়ার পুরস্কার হাতে হাতেই পেয়েছেন স্মৃতি ইরানি। বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মত কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে এবার তিনি নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।
প্রকাশ জাভড়েকর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন। খাদ্য মন্ত্রী হচ্ছেন রাম বিলাস পাসওয়ান।
বৃহস্পতিবার রাজধানী নয়াদিল্লির রাইসিনা হিলে সন্ধ্যা ৭ টায় মোদী দেশের ১৫ তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
মোদীর সঙ্গে প্রথমেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নীতিন গডকরি, সদানন্দ গৌড়া। এরপর একে একে শপথ নেন অন্যান্যরাও।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রায় ৫৮ জন। এদের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দুই সাংসদ- বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী।
শপথের পর রাতে এক টুইটে মোদী নিজের নতুন দলকে ‘টিম ২.০’ বলে বর্ণনা করেন।
বলেন, তার দল ‘তরুণদের শক্তি ও প্রশাসনিকভাবে অভিজ্ঞদের মিশেল’।