বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে দারুণ শুরু করল নিউজিল্যান্ড। আসরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে উড়িয়ে দিয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল। সোফিয়া গার্ডেনে লংকানদের ১০ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা। প্রথমে ব্যাটিং করে শ্রীলংকা সংগ্রহ করে মাত্র ১৩৬ রান। জবাবে ১৬.১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে নোঙর করে কিউরা।
শ্রীলংকার দেওয়া ১৩৭ রানের জবাবে শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকেন দুই কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো। মালিঙ্গার করা প্রথম ওভারে দুটি চার মেরে নিজের মনোভাব পরিষ্কার করে দেন গাপটিল। ৫ ওভার শেষে দলের স্কোর ছিল ২৬। এরপরই হাত খুলতে শুরু করেন কলিন মুনরো। বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাটের নিচে পিষ্ট হতে থাকেন মালিঙ্গা-লাকমলরা। অন্য প্রান্তে গাপটিল তার স্বাভাবিক খেলা খেলতে থাকেন। ১০ ওভার শেষে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭৭।
শেষ পর্যন্ত এই দুজনকে আর ফেরাতে পারেনি শ্রীলংকার বোলাররা। ১০ উইকেটে জয়ে দারুণ মনোবল নিয়ে কেনিংটন ওভালে পরের ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।
এবারের বিশ্বকাপে সেরা চারের লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে বাদ দিয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সোফিয়া গার্ডেনে ম্যাচ শুরুর আগে সবাই নিউজিল্যান্ডকে জয়ী ধরেই হিসাব কষছিলেন। প্রথম ওভারেই সবার হিসাবকে সঠিক প্রমাণ করেন ম্যাট হেনরি। তৃতীয় বলেই লাহিরু থিরিমান্নেকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। শ্রীলংকার রান তখন ৪। পরের যখন ফেরেন দলের রান তখন ৪৬। স্কোরে আর এক রানও যোগ না হতে ফিরে যান কুশল মেন্ডিস।
নবম ওভারে আবার হেনরি ঝড়ের কবলে পড়ে শ্রীলংকার রান তরী। কুশল পেরেরাকে কলিন ডি গ্রান্ডহোমের তালুবন্দি করার হেনরি। নবম ওভারে লংকার রান তরীতে আবার আঘাত হানেন হেনরি। এবার তিনি ফেরান কুশল সিলভাকে।
দলীয় ৫৯ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন লকি ফার্গুসন। স্কোরে আর ৫ রান যোগ হতেই প্যাভিলিয়নের পথে হাটা ধরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কোনো রানই করতে পারেননি লংকান সাবেক অধিনায়ক। ম্যাথুসকে ফেরান গ্রান্ডহোম।
জীবন মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দিয়ে লংকানদের বিপদটা আরো বাড়িয়ে তোলেন ফার্গুসন। দলের রান তখন কেবল ৬০। ভাবা হচ্ছিল, শ্রীলংকাও হয়তো পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে। তবে এরপর দলের হাল ধরেন করুনারত্নে ও থিসারা পেরেরা। এই দুজন স্কোরে যোগ করেন ৫২ রান।
দলীয় ১১২ রানে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা পেরেরাকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। ২৩ বলে ২৭ রান করেন এই অলরাউন্ডার। থিসারা পেরেরা আউট হওয়ার পরই মূলত শ্রীলংকার প্রতিরোধ শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি।