দ্বিতীয় পরীক্ষায়ও সফলতা পেয়েছে নাসার মার্স হেলিকপ্টার। চলতি বছরের গ্রীষ্মে ‘মার্স ২০২০’ মিশনে একটি রোভারের সঙ্গে লাল গ্রহটিতে পাঠানো হবে এই হেলিকপ্টারটি।
পৃথিবীর চেয়ে মঙ্গল গ্রহের বায়ু পাতলা হওয়ায় গ্রহটিতে বাতাসের চেয়ে ভারী কোনো কিছু ওড়ানো কষ্টসাধ্য বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।
চলতি বছরের শুরুতে মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ সিমুলেট করে হেলিকপ্টারটি পরীক্ষা করেছে নাসা’র জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি বা জেপিএল। এই পরীক্ষায় হেলিকপ্টারটি শূন্যের নিচে ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা এবং বায়ুশূন্য চেম্বারের মধ্য দিয়ে ওড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলের অভিকর্ষ বলের প্রতিরূপ দিতে হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি ‘মোটোরাইজড ল্যানইয়ার্ড’ জুড়ে দেওয়া হয়।
রকেটে উৎক্ষেপণের সময় মার্স হেলিকপ্টারটি যাতে অক্ষত থাকে সেজন্যও কিছু পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেপিএল-এ ইতোমধ্যে একটি নতুন সৌর প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। নাসার পক্ষ থেকে বলা হয় একটি ক্যামেরা ছাড়া তারা এতে এখন কোনো বৈজ্ঞানিক যন্ত্র রাখছেন না। তারপরও একে “প্রযুক্তি প্রদর্শন”-এর একটি মাধ্যম হিসেবে দেখছেন তারা। পৃথিবী থেকে মঙ্গলের ড্রোন চালনার সম্ভাব্যতা প্রমাণ করবে এটি।
২০২০ সালের জুলাইয়ে ‘মার্স ২০২০’ অভিযানের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। এই যান ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে পৌছাবে। এই অভিযানে কেউ যেতে না পারলেও সিলিকন চিপে তার নাম যুক্ত করে দিতে পারবেন। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জিজিরো সেন্টার, এখানে প্রাচীন জীবনের চিহ্ন পাওয়ার আশা করছে নাসা।