আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান। এর আগে বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা রয়েছে। নারী করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা রয়েছে ৩ লাখ টাকা, যা আগামী অর্থবছরের জন্য একই রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘যেসব মানদণ্ডে বিগত কয়েক বছর যাবত করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রয়েছে এ বছরেরও সেগুলোর তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। অনেক উন্নত দেশে করমুক্ত আয়সীমা মাথাপিছু আয়ের পঁচিশ শতাংশের কম। আবার অনেক দেশে করমুক্ত কোনো আয়সীমা নেই। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা মাথাপিছু আয়ের দেড়গুণের বেশি। এ অবস্থায় করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়ালে বিদ্যমান করদাতাদের অনেকেই করের আওতার বাইরে চলে যাবেন। এতে করভিত্তি সংকুচিত হবে। এসব বিবেচনায় আমি কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা, করহার ও ন্যূনতম কর অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।’