কাজের চাপের মাঝেও সঙ্গীকে সময় দেওয়ার জন্য রয়েছে নানান উপায়।
ব্যস্ততাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক সময় সঙ্গীকে ঠিক মতো সময় দেওয়া হয় না। ফলে সম্পর্কে নানান সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে কাজের ফাঁকেও সঙ্গীকে সময় দেওয়া এবং সে আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝানোর কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল।
ঘুমানোর আগে ১৫ মিনিট স্ক্রিন টাইম কমিয়ে: মোবাইল বা কম্পিউটারের মনিটর থেকে দূরে থাকলে সঙ্গীর সঙ্গে কথাবলার আলাদা সময় বের করতে পারবেন এতে আপনার মানসিক চাপ অনেকটা কমে আসবে। একে অপরকে দেখে মুচকি হাসা মন অনেকটাই ভালো করে দেয়। এই সময়টা নিজেদের পছন্দ মতো ব্যবহার করতে পারেন- কথাবলা, গেইম খেলা, আইসক্রিম খাওয়া বা যে কোনো কিছুই করতে পারেন। এতে সম্পর্কে জোড়ালো হয়।
সপ্তাহে অন্তত একদিন দুইজনে পরিকল্পনা করে সময় কাটান
নতুন কোনো জায়গায় বেড়াতে যান, অথবা পছন্দের কোনো জায়গায় একটা কোণে বসে সময় কাটান। বাইরে যেতে না চাইলে ঘরেই বিশেষ কিছুর আয়োজন করা যেতে পারে। তবে তা একটি নির্দিষ্ট তারিখে করবেন এতে তা ‘ডেট নাইট’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
খাবারের সময় কথা বলুন
যতই ব্যস্ত থাকুন না কেনো দুপুরে খাবার খাওয়ার তো একটা সময় বেছে নিতে হয়। ওই সময়ে সঙ্গীকে ফোন দিয়ে কথা বলুন। কোনো বিশেষ বা সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়েই কথা বলতে হবে তা নয়, যে কোনো কিছু নিয়েই কথা বলতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন তা যেন দুই পক্ষ থেকেই ইতিবাচক হয়। এসময় কথা বলতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হয়েছে তা নিয়ে কথা না বলাই ভালো, মনে রাখবেন এই সময়টা তার জন্য আলাদা করে বের করেছেন। তাই কর্মক্ষেত্রের ঝামেলা টেনে না আনাই ভালো।
প্রশংসামূলক কথা
সারাদিনই তার ফোনে কিছু না কিছু বার্তা পাঠান। এতে আপনার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাবে। সঙ্গী সহায়ক মনোভাবের হলে আপনার প্রচেষ্টা বুঝতে পারবে যে, আপনি শত কাজের মাঝেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এটা একঘেঁয়েমি বা ঝামেলার নয় বরং আপনার সততার পরিচয় দেবে। এতে তার মুখে হাসি ফুটে উঠবে।