বাবা তুমি জগত সেরা
আকাশ সমান ছাদ
শূন্য ঘরে আঁধার রাতের
এক টুকরো চাঁদ।
তোমার কোলে রেখে মাথা
পুতুল বিয়ে খেলি
মুক্ত মনে মুক্তাকাশে
পাখা দুটি মেলি।
চাই-না কিছু জন্ম এপার
তোমার অধিক আর
বাবা তুমি এক পৃথিবী
চাঁদর মমতার।
আমার বাবা
আমার বাবা চিনির পুতুল
খেলনা গাড়ি গা তুলতুল,
আমার বাবা দখিন থেকে
গড়িয়ে আসা শীতল হাওয়া
উড়তে থাকা ঝাঁকড়া চুল।
আমার বাবা জলের উপর
ভাসতে থাকা ডিঙ্গি নাও
আমার বাবা পাখির কুজন
শান্ত একটা নিবিড় গাঁও।
আমার বাবা নদীর বুকে
জেগে ওঠা ছোট্ট চর
আমার বাবা ঝড় বাদলে
নিরাপদে থাকার ঘর।
আমার বাবা অনেক ভিড়ে
খুঁজে পাওয়া একটি হাত
আমার বাবা প্রখর রোদে
অঝর ধারার বৃষ্টিপাত।
বাবা আমার ফিরবে বাসায়
তোমরা যখন বিকেলবেলা
হাঁটতে বেরোও বাবার সাথে
ঘুরতে বেরোও হাঁটি হাঁটি
হাতটি ধরে বাবার হাতে,
আমি তখন মাঠের পারে
একলা একা পথের ধারে
দাঁড়িয়ে থাকি একটি আশায়-
এপথ দিয়েই বাবা আমার
অফিস থেকে ফিরবে বাসায়।
বাবার সাথে হয়না দেখা
অনেকগুলো দিন গেল যে।
বাবার কথা জানতে চেয়ে
প্রশ্ন যদি করি মা’কে
মা আমাকে রোজই বলেন-
তোমার বাবা অফিস করেন
আসতে যেতে অনেক সময়
তুমি তখন ঘুমে থাক
তাই তো তোমার বাবার সাথে
হয়না তোমার কোনো দেখা।
তাই তো আমি জেগেই আছি
আজকে আমি ঘুমবো না,
বাবার সাথে অনেক কথা
অনেক গল্প আছে জমা-
তাই তো আমি মাঠের পারে
চেয়ে আছি পথের ধারে
বুক বেঁধেছি অনেক আশায়
বাবা আমার ফিরবে বাসায়. . .
বাবা বুঝেন তাও
হঠাৎ করে পড়ে গিয়ে
যখন বলি বাবা
অমনি আকাশ দাঁড়িয়ে যায়
ঝরে বৃষ্টি ধারা।
হঠাৎ করে পথ হারিয়ে
যখন বলি বাবা
পথের দেখা অমনি মিলে
বাধাই থাকে না।
হঠাৎ করে ঘন মেঘে
ঢাকলে দিনের আলো
বাবা যেন রৌদ্র হয়ে
কাটিয়ে দেন কালো।
বাবার মতো শীতল ছায়া
আর কি আছে কোথাও
হয়নি বলা যে কথাটি
বাবা বুঝেন তাও।