ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য নিতে চলছে ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ-২০১৯’। তথ্য ফরম হাতে নিয়ে বাসাবাড়িতে যাওয়া ছাড়াও তৈরি পোশাক কারখানা থেকে শুরু করে হাসপাতাল, পাড়া-মহল্লাতেও ছুটছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করতে চলছে মাইকিং ও র্যালি। শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ২১ জুন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি চলবে।
ডিএমপি কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৬ সালে ভাড়াটে, বাড়ি মালিক বা ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩ জুন পর্যন্ত ২২ লাখ পরিবারের ৬৩ লাখ নাগরিকের তথ্য সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিআইএমএস) সংরক্ষণ করা হয়। সম্প্রতি ওই কার্যক্রমে ভাটা পড়ায় আবার তা জোরদার করা হয়। এই তথ্য সংগ্রহ করে সিআইএমএস নামের বিশেষ সফটওয়্যারে সংরক্ষণ করা হয়, যা জঙ্গি, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধী শনাক্তের পাশাপাশি নাগরিকদের অবস্থান জানা থাকায় দ্রুত পুলিশি সেবা দেওয়াও সম্ভব হয়।
মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো রাজধানীজুড়ে এই কার্যক্রম চলে। দুপুরের দিকে শাহজাহানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তথ্য ফরম নিয়ে যায় পুলিশ। চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স ও রোগীদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন ওই থানার ওসি। নাগরিক তথ্য ফরম পূরণ করে জমা দিলে পুলিশের সেবা পেতে নানা সুবিধার কথা তুলে ধরেন তিনি।
শাহজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোল্যা সমকালকে জানান, যে নাগরিকরা এখনও তথ্য ফরম পূরণ করেননি, তাদের কাছে তারা ছুটে যাচ্ছেন। গতকাল শাহজাহানপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল, গার্মেন্ট ও মার্কেটে নাগরিকদের সচেতন করার পাশাপাশি ফরম বিতরণ করেন তিনি। বিট পুলিশের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পূরণ করা ফরম সংগ্রহ করছেন।
এ ছাড়া মঙ্গলবার নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পল্টন, ডেমরা, সবুজবাগ, দক্ষিণখান, বাড্ডা, ভাটারা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও রূপনগর থানা পুলিশের উদ্যোগে বাড়ির মালিকদের মধ্যে তথ্য ফরম বিতরণ ও সংগ্রহ, পুলিশের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কিত প্রচারণার অংশ হিসেবে র্যালি, উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচিতে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।