লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) তিন প্রেসিডিয়াম সদস্য দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। দলের নিয়মিত কার্যক্রম না থাকা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়া এবং রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়ন না করার অভিযোগে তাদের পদত্যাগ।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ পদত্যাগের কথা জানান। তারা হলেন- জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল করিম আব্বাসী, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গণি।
এলডিপির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নতুন জোট গঠনের একদিন আগে তারা পদত্যাগ করলেন। পদত্যাগকারী নেতারা জানান, তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার পরও যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগদান করেছিলেন, তার কোনোটাই বাস্তবায়ন হয়নি।
বিএনপি থেকে বের হয়ে নতুন দল গঠন করলেও ওই দলের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের রাজনীতিতে তাদের থাকতে হয়েছে। তারা কোনো জোটের লেজুড়বৃত্তি করার জন্য নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করেননি।
এলডিপির কার্যক্রমের সমালোচনা করে তারা বলেন, এই দলটির কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমও চলছিল না। দলকে শক্তিশালী করতে সারাদেশে সাংগঠনিক কমিটি গঠন, নেতাকর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চা, সভা-সমাবেশের মতো কোনো কর্মসূচি নেই। শুধু ইফতার পার্টি আর সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই দলের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর বাইরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে এসব নেতাদের মনোনয়ন না দেওয়ার কারণেও তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
আব্দুল গণি বলেন, তাদের তিনজনই সাবেক সংসদ সদস্য। তাদের মধ্যে আব্দুল করিম আব্বাসী নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে ২৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে এলডিপি তাদের সঙ্গে নোংরা খেলা খেলেছে। কোনো দলে যোগদান করবেন কি-না জানতে চাইলে আব্দুল গণি বলেন, তারা জাতীয়তাবাদের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। কিন্তু এখনই কোনো দলে যাচ্ছেন না। তবে এই মতবাদে বিশ্বাসীদের নিয়ে অচিরেই একটা ফোরাম তৈরি করবেন। যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তারা কাজ করবেন।
দলের তিন হেভিওয়েট নেতার পদত্যাগ প্রসঙ্গে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলের সিনিয়র এই তিন নেতা অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ছিলেন। নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে তারা মনোক্ষুণ্ণ হয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তিনি মনে করছেন।