পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই সাংবাদিককে দেওয়া নোটিসের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) উদ্যোগে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, মিজান-বাছিরের ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে বক্তব্য গ্রহণের জন্য বুধবার দু’জন সাংবাদিককে তলব করে দুদক। তারা হলেন– অনলাইন বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি দীপু সারোয়ার ও এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরান হোসেন সুমন। এদের মধ্যে দীপু সারোয়ারের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ইমরান হোসেন সুমনের কাছে পাঠানো চিঠিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে উল্লেখ করা লাইনটি নেই।
মানববন্ধনে দীপু সারোয়ারের কাছে পাঠানো ওই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানান ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য। তিনি চিঠি ইস্যুকারী দুদক পরিচালক শেখ ফানাফিল্যার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অন্যদের মধ্যে ডিআরইউর সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নেতা পারভেজ খান, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, মোরছালিন নোমানি প্রমুখ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরান হোসেন সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে বাংলা ট্রিবিউনের দীপু সারোয়ার সাক্ষী হিসেবে বক্তব্য প্রদানের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হননি।
এদিকে, দুই সাংবাদিককে দুদকের নোটিসের প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিআরইউ। বুধবার ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান এক বিবৃতিতে ওই উদ্বেগ ও নিন্দা জানান।
এ ছাড়া ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার এবং প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান হোসেন সুমনকে দেওয়া দুদকের নোটিসের তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়েরসহ কার্যনির্বাহী কমিটি। বুধবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো দুদকের নোটিস অগ্রহণযোগ্য। এ ঘটনাকে কণ্ঠরোধের চেষ্টা হিসেবে মনে করে ক্র্যাব।