চীনের ডালিয়ানে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; যে সম্মেলনে বিশ্বায়িত পৃথিবীতে ব্যবসা, বিনিয়োগ ও তথ্য-প্রযুক্তিতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পথ খোঁজা হচ্ছে।
‘সামার ডাভোস’ নামে পরিচিতি পাওয়া ডালিয়ানের এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নাম ‘ডব্লিউইএফ এনুয়াল মিটিং অব দ্যা নিউ চ্যাম্পিয়ন্স-২০১৯’।
বিভিন্ন দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা ছাড়াও ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, শিক্ষা, ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে ডালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবেশ করেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি সেখানে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ছিলেন তার মেয়ে বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।
ত্রয়োদশ সামার ডাভোসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াব বিশ্বায়নের সম্প্রসারণের সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং বিশ্বায়ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশপাশি এর নানা চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
বিশ্বায়নকে আরো উন্মুক্ত করার পাশাপাশি বাণিজ্য উদারীকরণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সবাই যেন সমান সুবিধা পায়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
বর্তমান বিশ্ব বিনিয়োগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে মন্থর গতির কথা তুলে ধরে চীনা প্রধানমন্ত্রী নতুন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে উৎসাহ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
উত্তর-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রধান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র ডালিয়ানে চলমান এবারের সামার দাভোসের প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে ‘লিডারশিপ ৪.০- সাকসিডিং ইন এ নিউ এরা অব গ্লোবালাইজেশন’।
মঙ্গলবার বিকালে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ‘কোঅপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন তিনি।
সামার ডাভোসে অংশ নেওয়ার পর বুধবার প্রধানমন্ত্রী যাবেন বেইজিংয়ে। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার বৈঠক হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় নিয়েও চীনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে সরকারের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে।