পুরান ঢাকার ওয়ারীর শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে হারুন অর রশিদ। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে হারুনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে হারুন জানিয়েছে, সে একাই ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
শুক্রবার ছয় বছরের সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ২৬ বছর বয়সী হারুন। রোববার কুমিল্লার তিতাসের ডাবরডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির ওয়ারি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ বশির উদ্দিন জানান, হারুনকে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে সে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জবানবন্দিতে হারুন বলেছে, তার খালাত ভাই পারভেজের মেয়ের সঙ্গে সায়মা খেলত। এ সুবাধে সে সায়মাকে চেনে। শুক্রবারও মেয়েটি পারভেজের বাসায় খেলতে যায়। সেসময় পারভেজের মেয়ে ঘুমিয়ে থাকায় সায়মা ফিরে যাচ্ছিল বাসায়। এ সময় দেখা হয় তার সঙ্গে। মেয়েটি তাকে আংকেল বলে সম্বোধন করে। তখন ছাদ দেখার কথা বলে মেয়েটিকে নয়তলায় নিয়ে যায় হারুন। কিছুক্ষণ ছাদ ঘুরে দেখায়। এরপর ছাদের একপাশে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় ছোট্ট মেয়েটির ওপর। এ সময় চিৎকার করলে নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করে। পরে ফ্ল্যাটে পড়ে থাকা রশি তার গলায় লগিয়ে নিয়ে যায় রান্নাঘরে। সেখানে লাশ ফেলে রেখে কুমিল্লায় গ্রামের বাড়ি পালিয়ে যায়।
নয় তলা ওই ভবনের অষ্টম তলায় হারুন তার খালাত ভাই ব্যবসায়ী পারভেজের বাসায় থাকত। পারভেজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করত। একই ভবনের ছয় তলায় মা-বাবার সঙ্গে থাকত সায়মা। সায়মার বাবা আব্দুস সালামও ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সায়মা সবার ছোট।