অনেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে থাকেন। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অনেকে আবার পূর্ণমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন না। আবার সাধারণ জ্বর, কাশিসহ অসুখ হলে কেউ কেউ ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবন করেন। আমাদের দেশে ফার্মেসিতে প্রায় ৯০ ভাগ ওষুধ বিক্রি হয় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া।
এটা আমাদের দেশে এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে। এই ওষুধ যারা কিনছে, তাদের মধ্যে চিকিৎসাপত্রের বিষয়টিই নেই। অনেক সময় শিশুদের ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে আমরা ধরেই নিই ভাইরাসের কারণে এ সমস্যা হয়েছে। একে আমরা রোটা ভাইরাল ডায়রিয়া বলি। এতে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজন নেই।
সাধারণ সর্দি-জ্বরের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজন নেই। তখন হয়তো ফার্মেসিওয়ালা বলছে, আপনি দুটি মেট্রোনিডাজল নিয়ে যান। কিংবা আরও অন্য ওষুধ নিয়ে যান। রোগী কিন্তু খুব খুশি তার সমস্যাটা কমে যাচ্ছে।
এরপর তার আশপাশে যখন অন্যদের এ রকম সমস্যা হচ্ছে, অন্যকেও আবার একইভাবে সে পরামর্শ দিচ্ছে। এভাবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়। যে কোনো সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন, ভালো থাকুন।
লেখক: সাবেক ডিন
মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়