বিদেশি সহায়তার অর্থ ছাড় বেড়েছে। গেলো অর্থবছরে ৬২০ কোটি ডলার অর্থ ছাড় করেছে দাতারা। চলতি বাজারদরে (৮৪ টাকা ৫০ পয়সা প্রতি ডলার) টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৫২ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
আগের অর্থবছরে দাতারা ছাড় করেছিল ৬১০ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ছিল ৫১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা।
সেই হিসাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদেশি সহায়তার ছাড় করা অর্থের পরিমাণ ৮৪৫ কোটি টাকা বা ১০ কোটি ডলার বেড়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ তথ্যে বিদেশি সহায়তার এই চিত্র পাওয়া গেছে।
তবে সরকারের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ইআরডি ধরেছিল ৬৩০ কোটি ডলার আসবে; এসেছে ৬২০ কোটি ডলার।
এই ৬২০ কোটি ডলার থেকে দাতাদের কাছে পুঞ্জিভূত পাওনা থেকে ১৫৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে আসল হিসেবে ১১৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং সুদ হিসেবে ৩৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার শোধ করা হয়।
এ হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিট বিদেশী ঋণ-সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
ইআরডি’র সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিবছর টার্গেট বাড়ছে।স্বাভাবিকভাবেই দাতাদের কাছ থেকে ছাড় বাড়বে। দাতাদের কাছ থেকে বেশি প্রতিশ্রুতি আদায় করছি। তাই অর্থছাড়ও বাড়ছে।
সরকার বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় বিদেশী ঋণ-সহায়তার গতি বেড়েছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন,“দেশে চলমান মেগা প্রকল্পগুলো এখন গতি পেয়েছে। মেট্রোরেল ও রুপপুর পারমনাবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম পর্য়ন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের মতো মেগা প্রকল্পগুলো এখন গতি পেয়েছে। তাই দাতাদের অর্থ ছাড়ও বাড়ছে।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য সরকার দাতাদের কাছ থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে সরকার বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে ৮৬৫ কোটি ডলার পাবে বলে লক্ষ্য ধরেছে।
ইআরডি’র তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত অর্থবছরে দাতাসংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯৭ কোটি ডলার ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।১১৯ কোটি ৪৯ লাখ ডলার ছাড় করেছে জাপানের সাহায্য সংস্থা জাইকা।আর চীন ছাড় করেছে ৪৫ কোটি ডলার।