দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাকে ‘মানবিক সঙ্কট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদের।
এ বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতার ‘অভাব নেই’ জানিয়ে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রচারপত্র বিলি এবং মশক নিধন কার্যক্রম থেকে ওবায়দুল কাদেরের এ আহ্বান আসে।
এডিস মশা নিধনের কার্যকর ওষুধ কবে নাগাদ দেশে আসতে পারে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এখানে কোনো প্রকার আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরমর্শ অনুযায়ী কার্যকর ওষুধ বাংলাদেশ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, এ জন্য একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।”
সরকারি তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর এ পর্যন্ত দেশে ১৯ হাজার ৫১৩ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য দিলেও গণমাধ্যমে মৃতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়ানোর খবর আসছে।
সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন রেখেছিলেন- ডেঙ্গু দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে বলে তিনি মনে করেন কি না।
উত্তরে তিনি বলেন, “কী নামে আপনি অভিহিত করলেন সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল ডেঙ্গু জ্বরে আজকের যে অবস্থা, এডিস মশার যে ভয়াবহ উপদ্রব এবং তাণ্ডব সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, এটা বাস্তব এবং এটা সত্য।
“এই বাস্তব সত্যটাকে অস্বীকার করা উপায় নেই। এই ভয়াবহতাকে কোন নামে অভিহিত করতে হবে- এ ধরনের কোনো বিষয় নেই। আমরা এই বিষয়টাকে কীভাবে নিলাম সেটা দেখার বিষয়। আমরা সিরিয়াসলি নিয়েছি।”
এই সংকটে সবাইকে এগিয়ে আশার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা মনে করি, এটি একটি মানবিক ক্রাইসিস। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের এগিয়ে আসা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশার বংশবিস্তার বন্ধে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করার জন্য।”
মশা নিধনে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়ে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “একদিকে সচেতনতা, অন্যদিকে মশা যাতে বংশ বিস্তার যাতে করতে না পারে সেজন্য যা যা করা দরকার, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, দুই সিটির মেয়র এবং আমাদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।
“স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনকে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুয়ায়ী সবাই কাজ করছে।”
বিএনপির দিকে ইংগিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা বসে নেই, আমরা শুধু লিপ সার্ভিস দিচ্ছি না। অনেকে পত্রপত্রিকায় লিপ সার্ভিস দিচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো কার্যকারিতা নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধেও কার্যকারিতা নেই, বন্যা কবলিতদের পাশেও ফটো সেশন ছাড়া কোনো কার্যকারিতা তাদের নেই।”