বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান। টি-২০ ক্রিকেটের বাজারে তার দাম আরও চড়া। বাংলাদেশের একমাত্র টি-২০ ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা সাকিব। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও তিনি খেলেছেন দুর্দান্ত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগামী আসরের জন্য সাকিবের মূল্য তাই আরও বেশি। সেই দামি ক্রিকেটারকে ঢাকা ডায়নামাইটসের ঘর থেকে ভাগিয়ে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। দল বদল ক্রিকেটাররা করতেই পারেন। কিন্তু ঢাকার দাবি অগোচরে রংপুর নিয়ে গেছে সাকিবকে।
ডায়নামাইটসের দাবি, বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল ক্রিকেটার ধরে রাখার ফর্ম দেয়নি। সময়ও বেধে দেয়নি। ফর্ম দিলেই তারা কাকে ধরে রাখবেন, কাকে ছেড়ে দেবেন সে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতেন। বিষয়টি তারা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও জানিয়েছে। রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম জানান, বিপিএলের আগামী আসরে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো এখনও নতুন চুক্তি করেনি। ফ্রাঞ্চাইজির চুক্তি না হলে তাই সাকিবদের চুক্তি বিবেচনায় নিচ্ছেন না তারা। বিসিবি পরিচালক বিপিএলের সপ্তম আসরের জন্য নতুন করে প্লেয়ার ড্রাফট হতে পারে বলেও জানান।
প্লেয়ার ড্রাফট নতুন করে কেন দরকার পড়বে তারও কারণ জানিয়েছেন বিসিবি’র এই কর্তা। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে সাত দল অংশ নিয়েছিল। এবার আরেকটি দল বাড়ানোর চিন্তা আছে বিসিবি’র। বিপিএলের আগামী আসরে নতুন দলের প্রস্তাবও বিসিবি পেয়েছে। আর দল বাড়লে তাই নতুন করে ড্রাফটের প্রয়োজন পড়তে পারে।
বিপিএলে দলবদলের হিকিড় অবশ্য বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়ানো দিয়েই শুরু হয়েছে। মরগান, জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলারদের বিপিএল খেলার ঘোষণা দেয় ক্লাবগুলো। এরপর সাকিবকে নিয়ে চমক দেয় রংপুর। মুশফিকুর রহিম চিটাগং ছেড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ফ্রাঞ্চাইজিটির পক্ষে নাফিজা কামাল নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। তিনি জানিয়েছেন, তামিম তাদের সঙ্গে আগামী আসরে থাকছেন না। রংপুরের বিষয়টি আবার কিছুটা জটিল। মাশরাফি এখনও তাদের আইকন। আবার সাকিব গেছেন রংপুরে। তাদের আইকন তাই দু’জন। একদলে আবার দু’জন আইকন খেলতে পারবেন না। ঢাকার আবার আইকন নেই। এ নিয়ে তাই বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলকে দ্রুতই সিদ্ধান্তে আসতে হবে।