চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
রোববার রাতে ঢাকা থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন জানান।
এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গেল সপ্তাহেই মাসুমের দুটি অস্ত্রের নিবন্ধন বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে অস্ত্রগুলো জমাও দিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম নানা কারণে আলোচিত। বিভিন্ন সময়ে লালখান বাজার এলাকায় বিভিন্ন সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার নাম এসেছে। গণমাধ্যমে অস্ত্র হাতে ছবি ছাপা হওয়ায় তিনি সমালোচিতও হন।
মাসুম ১৯৯৭-৯৮ সালে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হয়েছিলেন।বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রায় তিন বছর কারাবাসের পর দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে ছিলেন মাসুম। ২০১৩ সাল থেকে তিনি লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
২০১৭ সালে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে নিজের বাসার সামনে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে মাসুমের বিরুদ্ধে।
অস্ত্র থানায় জমা দিয়ে এলেন সেই আওয়ামী লীগ নেতা
সুদীপ্ত হত্যায় জড়িতরা সবাই মাসুমের অনুসারী এবং তার নির্দেশেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে নগর ছাত্রলীগের একাংশের।
লালখান বাজারকেন্দ্রিক আরও অন্তত দুটি খুনের ঘটনায় মাসুমের অনুসারীদের দায়ী করে আসছে আওয়ামী লীগের একাংশ।
দিদারুল আলম মাসুম এক সময় চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন সময়ে নিজেকে সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ আফসারুল আমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতেন মাসুম।
বর্তমানে তিনি সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে নগরীর রাজনীতিতে পরিচিত।