ঢাকাই চলচ্চিত্রের খবর রাখেন, এমন সবাই অনন্ত জলিলকে চেনেন। চেনেন তাঁর স্ত্রী বর্ষাকেও। কিন্তু এটা হয়তো অনেকেই জানেন না, তাঁরা কেউই শুরু থেকে অনন্ত-বর্ষা ছিলেন না। ছিলেন আবদুল জলিল ও খাদিজা। সম্প্রতি নিজেরাই আদি নামটি জানালেন।
ভিডিওতে অনন্ত জলিল বলেন, ‘ছোট বেলায় খুব দুষ্টু ছিলাম। তখন আমার গৃহশিক্ষক আবদুল জলিলের নামের অনুপ্রেরণায় বাবা আমার নাম রেখে দেন “আবদুল জলিল”। পরবর্তীতে আমার বড় ভাই আমার ডাক নাম রাখেন “অনন্ত”। এই নামটি আমার খুব পছন্দ হয়। যে কারণে আমি এখন অনন্ত জলিল।’ একই বৈঠকে বর্ষা জানান, ছোটবেলায় তাঁর নাম ছিল ‘খাদিজা’। সেখান থেকে বড় হওয়ার পর ঘটনাক্রমে তাঁর নাম বর্ষা রাখা হয়।
মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ ঈদ আয়োজনের চিত্র ধারণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অনন্ত জলিল এবং তাঁর স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক রুম্মান রশীদ খান প্রথম আলোকে এসব তথ্য দিয়ে জানান, রকিবুল আলম ও জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের ২য় দিন অর্থাৎ ১৩ আগস্ট সকাল ৭টা থেকে ৯টা, মাছরাঙা টেলিভিশনে।
অনুষ্ঠানে ‘খোঁজ দ্য সার্চ’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’-ছবিগুলো করে পরিচিতি পাওয়া নায়ক অনন্ত জলিল জানালেন, খুব শিগগিরই ‘দিন—দ্য ডে’ ছবি নিয়ে পাঁচ বছর পর বড় পর্দায় দেখা যাবে অনন্ত-বর্ষা জুটিকে। ইরানে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ভেতরেও কাজ করেছেন এ ছবির জন্য। ইরানের হেরাতে এক দুর্গম পাহাড় ও মরুভূমি এলাকায় শুটিং করার সময় উটের পিঠ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। ‘দিন—দ্য ডে’ নামে ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি প্রযোজনা-পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করছেন তিনি।
দুর্ঘটনার পরপরই অনন্তকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা না থাকায় তেহরান থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম নগর এসফাহনে অনন্তকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদ। ছবিতে ইরান-লেবানন থেকে প্রথম সারির কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীও অভিনয় করছেন। ছবিটির মূল ভাষা বাংলা রেখে ফারসি, আরবি ও ইংরেজিতে ডাবিং করে একই সময়ে বাংলাদেশসহ ইরান ও অন্যান্য দেশে প্রদর্শন করা হবে।
‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানে এই দম্পতি আরও জানান, খ্যাতির কোনো বিড়ম্বনা হতে পারে না। এমনও হয়েছে বন্ধু কিংবা প্রিয়জনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে টানা দেড় ঘণ্টা ভক্তদের সেলফি তোলার আবদার মেটাতে হয়েছে। হাসিমুখে ভক্তদের এই ভালোবাসা মেনে নিতে তাঁরা সব সময় প্রস্তুত।