দেশের কয়েকটি জেলায় প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন মজুদ পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
দেশে ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের ফলে গ্যাসের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির পাশাপাশি দেশে গ্যাসের অনুসন্ধান চলছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দিনব্যাপী এলএনজি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি জানান, দেশে গত এক বছর ধরে প্রতিদিন ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি হচ্ছে।
“এলএনজির অধিক মূল্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এছাড়া বিশ্ব বাজারে এর দাম ওঠানামা করে। সেজন্য এলএনজির পাশাপাশি দেশিয় মজুদ উত্তোলনেও গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
“বৃহত্তর ভোলা থেকে গ্যাস আসছে। ময়মনসিংহ বিভাগে গ্যাসের একটা সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। মাদারীপুরেও গ্যাসের একটা মজুদ বা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই প্রকল্পগুলো চালু হলে তা যোগান বাড়াবে।”
প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে পাইপলাইনে গ্যাস আমাদানির পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
“প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকেও প্রস্তাবনা পেয়েছি। ভারতের সরকারি ও বেসরকারি খাত পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্যাস দিতে চাচ্ছে, বিশেষ করে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে। এই গ্যাস খুলনা ও পায়রা অঞ্চলে সাপ্লাই দিতে পারব।
“রাজশাহীর দিকে যে গ্রিড লাইন চলে গেছে সেই গ্রিডের সঙ্গে ভারত থেকে আমদানি করা গ্যাসের সংযোগ দিয়ে ওই অঞ্চলের চাহিদা পূরণ করতে পারব। আবার ভারত ইচ্ছে করলে শিলিগুড়ি দিয়ে গ্যাস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহার করতে পারবে।”
চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভারত থেকে গ্যাস আমদানি নিয়ে একটা ভালো সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুরনো লাইন সংস্কারে নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকার পুরনো পাইপলাইন সব তুলে নতুন করে বসানোর জন্য ১২০০ কোটি ১৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।