বেতন-বোনাস নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন পোশাক শ্রমিকরা

111985_rments-5d4eeaf640b56

শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো ঝামেলা ছাড়াই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঈদ বোনাস এবং জুলাই মাসের বেতন পেয়েছেন। তবে শনিবার শেষ কর্মদিবস শেষে কিছু কারাখানায় ওভারটাইমের পুরো অর্থ পাননি কিছু শ্রমিক। কারখানা মালিকদের সঙ্গে সমঝোতায় ঈদের পর পরই তাদের ওভারটাইমের অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে খুশি মনেই ঈদে বাড়ি ফিরেছেন তারা।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক শনিবার বিকেলে জানান, পোশাক খাতের বর্তমান সংকটের মধ্যেও সব কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করেছেন মালিকরা। ছোট-বড় কোনো কারখানার কোনো শ্রমিককে বেতন-বোনাস না পেয়ে বাড়ি যেতে হয়নি। বিজিএমইএর তদারকিসহ বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আগামীতে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের বিষয়টি আর সংবাদ মাধ্যমের ইস্যু থাকবে না। সব আনন্দ-উৎসব মালিক-শ্রমিক একইভাবে উদযাপন করবেন। দেশের পোশাক খাত সেদিকে এগোচ্ছে।

বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার শেষ কর্মদিবসে শতভাগ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের ঈদ বোনাস পেয়েছেন। দুটি কারখানায় বোনাস নিয়ে সমস্যা ছিল। বিজিএমইএর মধ্যস্থতায় ওই দুই কারখানার শ্রমিকরাও বোনাস বুঝে পেয়েছেন। এবার মজুরি পরিশোধ নিয়ে ঝুঁকিতে থাকা ১৩০ কারখানার মধ্যে কয়েকটিতে শুক্রবার পর্যন্ত বোনাস পরিশোধ বাকি ছিল। শনিবার এসব কারখানার বোনাসও দেওয়া হয়।

ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব সালাহ উদ্দিন স্বপন শনিবার বলেন, বেতন নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। সব শ্রমিক জুলাই মাসের বেতন নিয়েই বাড়ি যাচ্ছেন। বোনাসও শতভাগ কারখানায় দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক কারখানার মালিকই আইনের মারপ্যাঁচে পরিমাণে বোনাস কম দিয়েছেন বলে অভিযোগ তার।

এদিকে ঈদুল ফিতরের মতো এই ঈদেও শ্রমিকদের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সুবিধায় ১৭১ বাস দিচ্ছে সরকার। সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) ১৫১ বাস গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে প্রতি ১৫ মিনিট পর ছেড়ে যায়। গত শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে এই সেবা গত রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কারখানাগুলোর শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধায় ২০টি বাস বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

Pin It