বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার চার্জশিট বুধবারও দিতে পারেনি পুলিশ। আগামী ২২ আগস্ট পুনরায় পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেফতার ১৪ আসামিকে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাতুল সিকদার নামে আরেক আসামি যশোরের শিশু-কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বরগুনা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রতিবেদন তৈরি করতে না পারায় বুধবার আদালতে দাখিল করা সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তী তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী মাহাবুবুল বারী আসলাম জানান, গত ৩১ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। ওই তারিখে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। বুধবারও পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, রিফাত হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করলে এবং বিচারক তা গ্রহণ করলে সেটিই চার্জশিট হিসেবে গণ্য হবে।
রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মিন্নিসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং তারা সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মুসা বন্ড, ৭ নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ৮ নম্বর আসামি রায়হান এবং ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ মামলায় গ্রেফতার আসামিরা হচ্ছে- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবণ, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।