আর্দ্রতার কারণে গহনার উজ্জ্বলতা হ্রাস পায় এমনকি ক্ষয়েও যেতে পারে। তাই আবহাওয়া বুঝে বিভিন্ন গহনার ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া উচিত।
যদিও বর্ষাকাল শেষ। তারপরও মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হয়। সঠিক যত্নের অভাবে ভেজা আবহাওয়াতে বিভিন্ন ধরনের গহনা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের কল্যাণ জুয়েলার্সের নকশাকার নওশাবা অ্যারার’ দেওয়া বর্ষায় নানান রকমের গহনার সঠিক যত্ন নেওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
রূপা: রূপার গহনা সহজেই অক্সিডাইজ বা কালচে হয়ে যায়। এই কালচেভাব দূর করতে টুথপেস্ট বা পাতলা কাপড় দিয়ে তা পরিষ্কার করে নিন এবং যতটা সম্ভব পানি থেকে দূরে রাখতে হবে। উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে তা আবার রুপার পানিতে ধোয়ানো যেতে পারে।
স্বর্ণ ও প্লাটিনাম: স্বর্ণ ও প্লাটিনামের গহনায় সহজেই ময়লা জমে এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সমস্যা এড়াতে কুসুম গরম সাবান পানিতে ধোয়া যেতে পারে।
হীরা: আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে হীরকের উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়। হীরার উজ্জ্বলতা যেন কমে না যায় তাই শুরুতেই এর গায়ে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। সাবান পানি বা সাবান পানিতে ভেজানো পাতলা কাপড় তা মুছে নিতে পারেন।
পাথর: মূল্যবাণ পাথরের তৈরি গহনা রাখা উচিত সযত্নে। এই ধরনের গহনায় সরাসরি সুগন্ধি বা স্পে ব্যবহার করা উচিত না, বর্ষাকালে তা একেবারেই না। এতে হয়ত চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে পাথরের উজ্জ্বলতা। তাছাড়া এইসকল গহনায় দাগ পড়া বা সামান্য ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
পাথরের গহনা যেমন- মুক্তা, সাফিরা, রুবি ও অ্যাম্বার ধরনের গহনা বাইরে না পরাই ভালো বরং গন্তব্যস্থলে পৌঁছে তা পরুন। এসব গহনা বহন করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে যেন দাগ না পড়ে বা ভেঙে না যায়। এদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আলদা আলাদা খোপ সমৃদ্ধ বাক্স ব্যবহার করা উচিত।
গহনা নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে ও ঠিক মতো সংরক্ষণ করলে তা ক্ষয় ও উজ্জ্বলতা হ্রাসের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।