হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা চায় জাতীয় পার্টি (জাপা)। তবে এর চূড়ান্ত ফলাফল জানতে ১৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত অপেক্ষার কথা জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। জাপা এ আসনে এরশাদপুত্র রাহাগীর আল মাহী সাদকে (সাদ এরশাদ) প্রার্থী করেছে।
সোমবার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জানতে চান, রংপুর-৩ সদর আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপার সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা আছে কি-না।
এর উত্তরে জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখনও কোনো ঐকমত্যে আসা যায়নি। শেষ পর্যন্ত হয়তো মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু।
১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচন থেকে রংপুর সদর আর কখনও জাতীয় পার্টির হাতছাড়া হয়নি। সর্বশেষ দুই নির্বাচনে এ আসন থেকে এমপি হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের এ দুই নির্বাচনে এরশাদের বিপরীতে কোনো প্রার্থী দেয়নি মহাজোটে তাদের শরিক আওয়ামী লীগ। চলমান একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদ গত ১৪ জুলাই মারা গেলে রংপুর-৩ আসন শূন্য হয়। ৫ অক্টোবর এখানে উপনির্বাচন হবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দলের অনেকের অনেক প্রত্যাশা থাকে। অনেকের অনেক প্রতিক্রিয়া থাকে। তবে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দলের প্রার্থীর পেছনে কাজ করবেন এবং তাকে জয়ী করে আনবেন।
রওশন ও তার মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, মতবিরোধ যে কোনো বড় উদ্যোগের পথে বাধা হতে পারত। এ জন্যই জ্যেষ্ঠ নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। শনিবার রাতের সমঝোতা বৈঠকে কারও পরাজয় হয়নি। দলের সবার বিজয় হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা একে অপরের ভাই ছিলাম, আছি। সামনে যদি এই বন্ধন ধরে রাখতে পারি, তাহলে জাতীয় পার্টি আরও ভালো করবে।
এই সমঝোতায় আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা ছিল কি-না জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, আমাদের কেউ পরিচালিত করছে- এটা মনে করা ঠিক না।
সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদেরের সঙ্গে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম, আদেলুর রহমান ও সোলায়মান শেঠ।