মোহাম্মদ নবির ঝড়ো ইনিংসের পরও লক্ষ্যটা নাগালেই ছিল। তবে মুজিব উর রহমানের দারুণ বোলিং আর ব্যাটসম্যানদের বাজে ব্যাটিংয়ের জন্য পেরে উঠলো না বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫ রানে হারল সাকিব আল হাসানের দল।
চট্টগ্রাম টেস্টে জয়টাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে আফগানদের। ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে সহজেই হারায় তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেবারিট হয়েই মাঠে নামে। শুরুতে দারুণ বোলিং করে ভালোর আভাস দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু শেষে বোলারদের ব্যর্থতা ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে তোলে। বড় রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ ব্যাট হাতে লড়াই করতেই পারেনি। হেরে গেছে ২৫ রানের ব্যবধানে।
রোববার শেরেবাংলা মিরপুর স্টেডিয়ামে টস জিতে আফগানিস্তান ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুর তিন ওভারের মধ্যে ১৯ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে নবীর সাত ছক্কা ও তিন চারে ৮৪ রানে ভর করে ১৬৪ রান তোলে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ও দ্বিতীয় ওভারে দুই ওপেনার লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমকে হারায়। এরপর মুজিবের এক ওভারে ফিরে যান সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার। মাহমুদুল্লাহ-সাব্বির ক্রিজে দাঁড়ালেও দলকে জেতানোর মতো কিছু করতে পারেননি তারা। বাংলাদেশ এক বল থাকতে ১৩৯ রানে অলআউট হয়।
দলের হয়ে মাহমুদুল্লাহ সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। এছাড়া সাব্বির রহমান খেলেন ২৪ রানের ইনিংস। তাদের জুটি থেকে ৫৮ রান পায় বাংলাদেশ। জয়ের আশা করে। কিন্তু তাদের পর আফিফ-মোসাদ্দেক ফিরতেই আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিফটি করে ম্যাচ জেতানো আফিফ হোসেন খেলেন ১৬ রানের ইনিংস। মোসাদ্দেক আউট হন ১২ রান করে। শেষে মুস্তাফিজ ৭ বলে এক ছয় ও দুই চারে ১৫ রান করলে হারের ব্যবধান কমে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ এ ম্যাচে হুট করে মুশফিককে ওপেন করায়। কিন্তু তিনি নতুন বলে খেলতে পারেননি। ফরিদ মালিকের বলে ফিরে যান ৫ রান করে। শুরুতেই মোমেন্টাম হারায় বাংলাদেশ। মুজিব উরের স্পিন সামলাতে সৌম্যর বদলে মুশফিককে ওপেনে নামায় বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিবদের সে বুদ্ধি কাজে দেয়নি। বরং মুশফিক ফিরে যেতে মিডল অর্ডারে রশিদ খানকে খেলার মতো আত্মবিশ্বাসী কেউ না থাকায় হিতে বিপরীত হয়েছে।
বাংলাদেশের ২৫ রানের হার
শেষে ঝড় তুলে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমালেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাকে থামিয়ে আফগানিস্তানকে ২৫ রানের জয় এনে দিলেন ফরিদ আহমেদ।
এক বল বাকি থাকতে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ফরিদকে ওড়ানোর চেষ্টায় সীমানায় বদলি ফিল্ডার শফিকউল্লাহ শফিকের হাতে ধরা পড়েন মুস্তাফিজ। ৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় করেন ১৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৪/৬ (রহমানউল্লাহ ০, জাজাই ১, নাজিব ১১, আসগর ৪০, নাজিবউল্লাহ ৫, নবি ৮৪*, নাইব ০, জানাত ৫*; সাইফ ৪-০-৩৩-৪, সাকিব ৪-১-১৮-২, মুস্তাফিজ ৪-০-২৫-০, তাইজুল ৪-০-৩২-০, সৌম্য ২-০-৩১-০, মোসাদ্দেক ১-০-১২-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৩-০)
বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৩৯ (লিটন ০, মুশফিক ৫, সাকিব ১৫, মাহমুদউল্লাহ ৪৪, সৌম্য ০, সাব্বির ২৪, আফিফ ১৬, মোসাদ্দেক ১২, সাইফ ২, তাইজুল ০*, মুস্তাফিজ ১৫; মুজিব ৪-০-১৫-৪, ফরিদ ২.৫-০-৩৩-২, করিম ৩-০-২৭-০, নবি ২-০-১১-০, রশিদ ৪-০-২৩-২, নাইব ৪-০-২৭-২)
ফল: আফগানিস্তান ২৫ রানে জয়ী
ম্যান-অব-দা ম্যাচ ঃ মোহাম্মদ নবি