সৌদিফেরত নারী গৃহ শ্রমিকদের প্রায় ৩৫ শতাংশ শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। আর ৪৪ শতাংশ নারীকে নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়া হতো না। এ কারণে তারা দেশে ফিরে আসেন। গত ২৬ আগস্ট ১১০ জন নারী গৃহ শ্রমিক দেশে ফিরে আসেন। তাদের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, আলী আশরাফ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, মৃনাল কান্তি দাস, আয়েশা ফেরদাউস, পংকজ নাথ ও সাদেক খান।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ফিরে আসা নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রণালয় তাদের ফিরে আসার ১১টি কারণ চিহ্নিত করেছে। কোনো কোনো নারী একইসঙ্গে একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে অনেকে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, আবার বেতন ভাতাও পাননি। অন্তত ২৩ জন নারী জানিয়েছেন, তাদের পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হতো না। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে– ছুটি না দেওয়া, একাধিক বাড়িতে কাজ করানো, অন্য কফিলের কাছে বিক্রি করে দেওয়া, শারিরীক অসুস্থতা, পারিবারিক কারণ (একজন), ভিসার মেয়াদ না থাকা, দুই বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়া। এই ১১০ নারীর মধ্যে ৩৪ জন নারী সৌদি আরব যাওয়ার এক থেকে ছয় মাসের মধ্যে দেশে ফিরে আসেন।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বর্তমানে বিশ্বের ২৬টি দেশে বাংলাদেশ মিশনে মোট ২৯টি শ্রম কল্যাণ উইং চালু আছে।