রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে ইইউ: অর্থমন্ত্রী

image-10388-1544808622-5c3230cc33f2f-5d9225f91f9fa

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিজেদের দেশে নিরাপদে ফিরতে পারে, সেজন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কেননা ইইউ বিশ্বাস করে, রোহিঙ্গাদের এখন দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাই সারা বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সোমবার বিকেলে শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসজি টিরিংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূত মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গুণগত ব্যয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা না থাকায় বাংলাদেশে অপচয় ও ত্রুটিবিচ্যুতি হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো দেশেও প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও অপচয় হয়। বাংলাদেশে এটি যাতে সীমার বাইরে না যায়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েনডি ওয়্যারনারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকর আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ইইউ রাষ্ট্রদূত শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে বলেছেন। জবাবে তাকে বলেছি, এখন শিক্ষার মান ভালো। ছেলেমেয়েদের জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হার আট শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় ভূয়সী প্রশংসা করেন। অর্থমন্ত্রী তাকে জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে (দুই অঙ্কে) নিয়ে যাওয়া।

সম্প্রতি হোটেল র‌্যাডিসনে এক কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অপচয় হয়। যে পরিমাণ অপচয় হয় তা দিয়ে বছরে কমপক্ষে আড়াই হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা যায়। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের তথ্য সঠিক নয়। তবে এ কথাও সত্য, সরকারি খাতে মানসম্মত ব্যয় এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। কিছু সমস্যা আছে। সরকার এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, কিংবা মেট্রো রেলের মতো মেগা প্রকল্প এক সময় এ দেশে স্বপ্নের মতো ছিল, কিন্তু এখন আর স্বপ্ন নয়। তবে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মতো অভিজ্ঞতা এ দেশের ছিল না। যে কারণে নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অপচয় হয়। তবে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে অপচয় কমিয়ে আনার। আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা হচ্ছে। যতদিন যাবে ততই অভিজ্ঞতা বাড়বে। এতে অপচয় কমে আসবে।

Pin It