অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এখন থেকে ব্যাংকে গেলেই প্রবাসী আয়ের প্রণোদনার টাকা পাওয়া যাবে। বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে কেউ যদি আজ রেমিট্যান্স পাঠান, তাহলে তিনি ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। এর আগে ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত যাঁরা অর্থ পাঠিয়েছেন, তাঁরাও এখন এই প্রণোদনা পাবেন।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর আজ বুধবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রণোদনার টাকা ছাড় হচ্ছে না বলে প্রতিবেদন এসেছে। বিষয়টি আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আসলে এটি নতুন একটি বিষয়। তাই পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করতে আমাদের একটু সময় লেগেছে।’
এদিকে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) পাঠানোর জন্য ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিতে সরকার বাজেটে যে বরাদ্দ রেখেছিল, তা থেকে অর্ধেক টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আজ ১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ছাড় করে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী আয়ে ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যেভাবে এগোচ্ছি, চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয় ১ হাজার ৮০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারও হয়ে যেতে পারে। বিদায়ী অর্থবছরে এটি ছিল ১ হাজার ৫০০ ডলারের মতো।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এখন থেকে ১ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত পাঠানোর ক্ষেত্রে কাউকে কোনো প্রশ্ন করা হবে না, কোনো কাগজপত্রও চাওয়া হবে না। এমনকি ১ হাজার ৫০০ ডলারের মধ্যে দিনে তিন-চারবার করেও দেশে অর্থ পাঠানো যাবে। একবারে কেউ এর চেয়ে বেশি ডলার পাঠাতে চাইলেই কেবল কাগজপত্র চাওয়া হবে। এসব কাগজপত্রের মধ্যে আছে প্রবাসীর পাসপোর্টের কপি, বিদেশি কোম্পানির নিয়োগপত্র, ব্যবসা করলে তার নথিপত্র ইত্যাদি।