একটা ল্যাপটপের দাম কত হতে পারে? ৫০ হাজার, ১ লাখ টাকার ল্যাপটপের কথা শুনেছেন। ৫-৬ লাখের ল্যাপটপও মেলে বাজারে। কিন্তু কখনও শুনেছেন একটা ল্যাপটপ বিক্রি হয়েছে ৯ কোটি টাকায়? কেন এত দাম? তার পিছনে রয়েছে ভয়ঙ্কর অথচ চমকপ্রদ কাহিনী। কী সেই কাহিনী জেনে নেয়া যাক।
দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ ল্যাপটপের মতোই। নিউ ইয়র্কে নিলাম হয় ল্যাপটপটি। দেখতে সাধারণ হলেও এটি কিন্তু সাধারণ নয়। এই ল্যাপটপের জন্য গোটা বিশ্বে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভয়ঙ্কর সব ম্যালওয়্যারে ভর্তি এই ল্যাপটপ!
শুধু তাই নয়, এই ল্যাপটপে এমন ভাইরাস রয়েছে, যা বিশ্বের ৭৪টি দেশের কম্পিউটার সিস্টেমকে পুরো বিকল করে দিয়েছিল।
সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা ডিপ ইনস্টিংক্ট-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে ভয়ঙ্কর এই ল্যাপটপটি তৈরি করেছেন গুয়ো ডাং। ল্যাপটপটির নাম রাখা হয়েছে ‘পারসিসটেন্স অব কেওস’।
ল্যাপটপের মধ্যে ভয়ঙ্কর সব ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে দেয় ডিপ ইনস্টিংক্ট। ল্যাপটপের মধ্যে রয়েছে ক্রাই র্যানসমওয়্যার-এর মতো ভয়ঙ্কর ম্যালওয়্যার। ২০১৭ সালে বিশ্বের ১৫০টি দেশে কম্পিউটার সিস্টেমে হামলা চালিয়েছিল এই ভাইরাস। যার জেরে ৪০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়।
ক্রাই র্যানসমওয়্যার ছাড়াও এই ল্যাপটপে রয়েছে ব্ল্যাকএনার্জি-র মতো ম্যালওয়্যার। এই ম্যালওয়্যারের হামলায় ইউক্রেন এবং তার পার্শ্ববর্তী বিশাল এলাকা জুড়ে পাওয়ার গ্রিড বিকল হয়ে গিয়েছিল।
ল্যাপটপে রয়েছে আইলাভইউ ম্যালওয়্যার। একে লাভ বাগ বা লাভ পাক-ও বলা হয়। ২০০০ সালে ফিলিপাইনসে এই ম্যালওয়্যার এক কোটি উইন্ডোজ পার্সোনাল কম্পিউটারে হামলা চালায়।
এই ল্যাপটপে রয়েছে মাইডুম-এর মতো ম্যালওয়্যারও। ২০০৪-সালে এই ম্যালওয়্যার হামলা হয়। দাবি করা হয়, এর পিছনে রাশিয়ার ইমেল স্প্যামারদের হাত রয়েছে।
এছাড়াও এই ল্যাপটপে রয়েছে সো বিগ এবং ডার্ক টাকিলা-র মতো ভয়ানক ম্যালওয়্যার।
তবে এই ল্যাপটপটি থেকে যাতে কোনওভাবেই বা ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করা না যায় বা ইন্টারনেট সংযোগ করা না যায় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ছে।
ল্যাপটপটি আর্টপিস হিসেবেই তৈরি করেছিলেন গুয়ো ডাং। স্যামসাংয়ের এই ল্যাপটপটিতে উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে।