রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা (১৫) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল জানান, দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে আসামি ওবায়দুল খানকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। রায় ঘোষণার সময় রিশার মা ও তার ছোট বোন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তবে ওইদিন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরবর্তী রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারক।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে রিশা তার সহপাঠীকে নিয়ে কাকরাইল স্কুল সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজের ওপরে পৌঁছলে রিশাকে বাঁ হাতে ও পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওবায়দুল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে পোশাক বানাতে দেয় রিশা। ওই টেইলার্সের রসিদে বাসার ঠিকানা ও তার মায়ের মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল রিশাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। পরে ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিলে স্কুলে যাওয়ার পথে রিশাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে সে। তার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রিশাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল।
ওই ঘটনায় রিশার মা তানিয়া বেগম ওবায়দুলকে আসামি করে রমনা থানায় মামলা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর ২৮ আগস্ট রিশা মারা যায়। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
রিশা রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী রমজান হোসেনের মেয়ে।