জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জাতীয় ক্রিকেট লিগে পাওয়া যায় কমই। এবার খেলছেন প্রায় সবাই। ভারত সফরকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ভেতরে এমনিতেই তাগিদ ছিল। সঙ্গে ছিল প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর দুই-তিনটি ম্যাচে খেলার নির্দেশনা।
জাতীয় লিগে নিয়মিতই খেলেন টেস্ট দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। চট্টগ্রামের হয়ে চার বছর পর এই টুর্নামেন্টে খেললেন তামিম ইকবাল। মাহমুদউল্লাহও খেললেন চার বছর পর।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ড্র হয়েছে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেট্রোর লড়াই। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর মাহমুদউল্লাহ জানান, এবার লিগের দিকে বাড়তি মনোযোগ রয়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
“আমাদের আগেই বলা ছিল দুই-তিনটা ম্যাচ খেলতে হবে। কোচ (ডমিঙ্গো) আগে থেকে আমাদের নির্দেশনা দিয়ে রেখেছিলেন। জাতীয় লিগের দিকে মোটামুটি সবারই মনোযোগ ছিল।”
আগামী মাসে ভারতে তিনটি টি-টোয়েন্টির সঙ্গে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। বিরাট কোহলিদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক হবে বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহ জানান, ভালো প্রস্তুতির জন্য নিজ তাগিদেই এবারের জাতীয় লিগের দিকে তাকিয়ে ছিলেন ক্রিকেটাররা।
“আমরা বেশ কয়েক মাস ধরেই ক্রিকেট খেলছি। তারপরও জাতীয় লিগে বাড়তি একটা ফোকাস ছিল, কারণ সামনে আমাদের ভারত সফর। বড় সিরিজ। জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও অন্য সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছে যেন পারফর্ম করতে পারে।”
ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম। দুই ইনিংসেই থিতু হয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। ভালো করতে পারেননি মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম। তবে যারা খারাপ করেছেন তাদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু দেখেন না মাহমুদউল্লাহ।
“আমার মনে হয়, এটা নিয়ে এতো প্যানিকড হওয়ার কিছু নেই। সবাই চেষ্টা করেছে। কেউ হয়তো রান করেছে, কেউ করেনি। আশা করি, যারা রান করতে পারেনি তারা যেন আরও বেশি কষ্ট করে দ্বিতীয় রাউন্ডে রান করতে পারে এবং আত্মবিশ্বাসটা আগের জায়গায় নিয়ে আসতে পারে।”
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় রাউন্ড।