ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিজিবি-বিএসএফ গুলি বিনিময়: মন্ত্রী

home-minister-5da99643f2c54

‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে’ রাজশাহী সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। কিন্তু, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। এতে আমরা মর্মাহত।’

বিজিবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজশাহীর চারঘাটের বড়াল নদীর মোহনায় বাংলাদেশ সীমান্তের অন্তত ৫০০ মিটার ভেতরে প্রবেশ করে মা ইলিশ শিকার করছিল ভারতীয় তিন জেলে। এ সময় ভারতীয় দুই জেলে পালিয়ে যেতে পারলেও একজনকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। এরপর পালিয়ে যাওয়া জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাংলাদেশের প্রায় ৬৫০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফের চার সদস্য। এ সময় বিজিবি বাঁধা দিতে গেলে বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় বিএসএসফের এক সদস্য নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে বলে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে দাবি করেছে বিএসএফ।

এ ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পদ্মায় ইলিশ ধরার সময় জেলেদের বিজিবি চ্যালেঞ্জ করলে জানা যায় তারা ভারতীয় জেলে। জেলেরা গিয়ে বিএসএফকে ঘটনা জানালে তারা আসে। পরে ভুল বোঝাবুঝিতে বিএসএফ গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। দুজনের আলাপের মাধ্যমে একটা সুরাহা হবে।’

দু’পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টির সমাধান হবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের নাম উন্মোচনে কমিশন গঠন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম উন্মোচনে শিগগিরই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিশন গঠন করা হবে, যেন তরুণ প্রজন্ম যুগ যুগ ধরে ইতিহাসে ষড়যন্ত্রকারীদের চিনতে পারে।

আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি আমরা খুব শিগগিরই একটা নির্ভুল চার্জশিট দেব, যাতে করে বিচার বিভাগের কাছে কোনো প্রশ্ন না থাকে। একটা নির্ভুল চার্জশিট দেওয়ার জন্য পুলিশ কাজ করছে।’

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।

Pin It