ঐক্যফ্রন্ট এখন বিগত যৌবনা: তথ্যমন্ত্রী

রাজনীতির মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অবস্থাকে ‘বিগত যৌবনা’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

re-5dab367366141

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে মহানগর তাঁতী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, রাজনীতির মাঠে উনারা এখন বিগত যৌবনা। এখন তাদের ডাকে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। রাজনীতিতে যে যশ-প্রতিপত্তি ছিল, সেটা হারিয়ে গেছে। তারা এখন যে কথাগুলো বলছেন, সেগুলো মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট কতক্ষণ কোটা আন্দোলন, কতক্ষণ নিরাপদ সড়কের আন্দোলন, কতক্ষণ আবরার হত্যার মতো ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে নিচ্ছে। কিন্তু কোনোটাতেই হালে পানি পাচ্ছে না।

বক্তব্যে ‘সেলফি লীগ ও ফেসবুক লীগ’ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘এখনকার রাজনীতি হয়ে গেছে ফেসবুক কেন্দ্রিক। বর্তমানে এমন অনেক ছাত্র ও তরুণদের দেখা যায় ফেসবুকে রাজনীতে করতে। নেতার সাথে একটা ছবি ও সেলফি তুলে কিভাবে ফেসবুকে দিয়ে দেবে তা নিয়েই ব্যস্ত থাকে বেশি। অনেকে বলছে এরা নাকি সেলফি লীগ। এসব সেলফি ও ফেসবুক লীগের যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ। এদের কাছ থেকে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্মেলন সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে পরিষ্কার করার কাজ চলছে। পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের সংগঠনে অনেক আগাছা-পরগাছা ঢুকেছে। অনেকে নানাভাবে পদ-পদবিও পেয়েছে। সংগঠনের ভেতর থেকে সবাইকে আগাছা-পরগাছা দূর করতে হবে।’

তিনি বলেন, যারা এক সময় আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছে, আমাদের নেতাকর্মীদের যারা নির্যাতন করেছে তাদের অনেকে পরিচয় গোপন করে সংগঠনে ঢুকে পড়েছে। যে কোনও মূল্যে তাদের চিহ্নিত করে সংগঠন থেকে বের করে দিতে হবে। আগামীতে সংগঠনে যাতে কোনো আগাছা-পরগাছা পদ না পায় সেদিকে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সমালোচনা করুক। আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করি। আমরা চাই, বিরোধীদল সংসদে এবং রাজপথে আমাদের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করুক। সমালোচনা আমাদের পথচলাকে শাণিত করবে।’

তিনি বলেন, তবে অহেতুক সমালোচনা রাজনীতি, দেশ ও দেশের জনগণের জন্য শুভ নয়। এমন সমালোচনা কারও জন্য ভালো কিছু বয়েও আনবে না।’

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘কোনও বড় ভাই কিংবা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির রাজনীতি নয়; দলের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি জোরে ভাষণ দিলাম। আমাকে খুশি করতে আপনারা আরও জোরে ভাই ভাই বলে স্লোগান তুললেন। এ ধরনের রাজনীতি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর কর্মী হতে হলে তার আদর্শকে ও দর্শনকে মনে ধারণ করতে হবে।’

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, তাঁতী লীগের কেন্দ্র্রীয় সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, কার্যনির্বাহী সভাপতি সাধনা দাশগুপ্তা প্রমুখ।

Pin It