বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকারের অপসারণ ছাড়া দেশে সুশাসন আসবে না। শুধুমাত্র গুটিকয়েকজনকে গ্রেফতার কিংবা অব্যাহতি দিয়ে নয়, মানুষ এই নৈশভোটের সরকারের অপসারণ চায়। মানুষ তো এসব টোকাই-মোকাইয়ের বহিস্কার দেখতে চায় না, বড় বড় রাঘব-বোয়ালদের গ্রেফতার দেখতে চায়।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ছাত্রদলের সাবেক ছাত্র নেতাদের উদ্যোগে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, দেশে কয়েকদিন ধরে খুব সুন্দর একটা নাটক হচ্ছে। বড় বড় ঘটনাকে আড়াল করার জন্য এসব নাটক হচ্ছে। দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেলো। ইতিমধ্যে রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট, মেগা প্রজেক্ট, শেয়ার বাজার, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে লুটপাট হয়েছে তা হাজার হাজার কোটি টাকা। তার সঠিক হিসাব কেউ বলতে পারবে না। সেখান থেকে ক্যাসিনোর নাম দিয়ে কিছু লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এরপরও এ কাজকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এর চাইতে বড় বড় রাঘব-বোয়াল যারা রয়ে গেছে ওদের বেলায় কী করছেন? নাম বলতে চাই না। নাম বললেইতো মামলা ঠুকে দেবেন। আপনাদের মামলা-হামলার ভয়ে তো এমনিতেই আধা-মরা হয়ে গেছি, কিছু হলেই মামলা দেবেন।
তিনি বলেন, এই ভয় বেশি দিন চলবে না, বেশি দিন এটা মানবে না। মানুষ এটাকে ভালো ভাবে দেখছে না, ভালোভাবে নিচ্ছে না। আপনাদের যে অত্যাচার, আপনার যে অনাচার এর জবাব দেওয়ার জন্য মানুষ সুযোগের অপেক্ষায় আছে। যখন সুযোগ হবে আপনাদেরকে জবাবটা দিয়ে দেবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমউদ্দিন আলম, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে শিরিন সুলতানা, রেহানা আখতার রানু, শাম্মী আখতার, আজিজুল বারী হেলাল, হেলেন জেরিন খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল আউয়াল খান, হায়দার আলী লেলিন, আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।