উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে গড়ে ওঠা জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন-ন্যামের অষ্টাদশ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকালে আজারবাইজানের বাকু কংগ্রেস সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়।
১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট ন্যাম রাজনৈতিক সমন্বয় ও পরামর্শের জন্য জাতিসংঘের পর সবচেয়ে বড় ফোরাম হিসেবে পরিচিত।
স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা ৫৮ বছরের পুরনো এ জোটের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকা ১৭টি দেশ ও ১০ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা দুই দিনের এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
সকালে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ তাদের স্বাগত জানান।
অতিথিদের নিয়ে ফটোসেশনের পর শুরু হয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন।
শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যামের বিদায়ী চেয়ারম্যান ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এরপর বক্তব্য দেন নতুন চেয়ারম্যান ইলহাম আলিয়েভ।
ইরানের প্রেসিডেন্ট, কিউবার প্রেসিডেন্ট, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, জিবুতির প্রেসিডেন্ট, ঘানার প্রেসিডেন্ট, নেপালের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, ভারতের উপরাষ্ট্রপতি, তুর্কেমিনিস্তানের প্রেসিডেন্ট, বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যান, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অধিবেশনে।
ন্যামভুক্ত দেশগুলোতে বসবাস করে বিশ্বের ৫৫ শতাংশ মানুষ। স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যে শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে এই জোট কাজ করেছিল তা পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়টি এবারের সম্মেলনে আলোচনায় থাকছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানদের মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় তিনি যোগ দেনে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের দেওয়া নৈশভোজে।
ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার রাতে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে তিনি থাকছেন হিলটন বাকু হোটেলে।
শনিবার সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, প্রতিনিধি দলের প্রধানদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ এবং সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ধ্যায় আজারবাইজানে বাংলাদেশের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈজভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে রোববার সন্ধ্যায় তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।