যশোর কোতোয়ালী থানার দুই উপ-পরিদর্শকের (এসআই) ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিরুজ্জামানকে পুলিশ লাইনে সোপর্দ করা হয়েছে। একইসাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ডিএসবি) ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।কয়েকটি গণমাধ্যমে খবরটি প্রচারের পর তা ভাইরাল হয়।
রবিবার রাত সোয়া ৯টায় যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, আপাতত এসআই আমিরুজ্জামানকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ডিএসবি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাঁচদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, যশোর শহরের উপশহর বাবলাতলা এলাকার পিয়ালের গাড়ি সার্ভিসিং’র গ্যারেজে মাঝে মধ্যেই আসর বসান যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার আমিরুজ্জামান। বিভিন্ন সময়ে হাতেগোনা কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে সেখানে রাতের বেলায় অবস্থান করেন। এ সময় সেখানে জমে ওঠে ইয়াবা সেবন ও তাসখেলার আসর। সম্প্রতি সেই ইয়াবা সেবন ও তাস খেলার একটি ভিডিও ও ছবি ফাঁস হয়ে গেছে। ভিডিওটি এখন বিভিন্ন মানুষের মোবাইল ফোনে ফোনে ঘুরছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কোতোয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিরুজ্জামান ও এসআই ইকবাল হোসেনসহ আরও একজন খালি গায়ে পিয়ালের গাড়ি সার্ভিসিং’র গ্যারেজে তাস খেলছেন। এরই ফাঁকে ইয়াবা সেবন করছেন এসআই আমির। ছবি দু’টিও এই পুলিশ কর্মকর্তার ইয়াবা সেবনের।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসআই আমিরুজ্জামান বলেন, ভিডিও কিসে ফাঁস হয়েছে? এই প্রথম আপনার কাছে শুনলাম। আমি দেখি। খোঁজ নিয়ে পরে আপনাকে জানাচ্ছি।