ভারত সফরকে বড় এক সুযোগ বলছেন অনেকে। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে আগামী প্রজন্মের নিজেদের জানান দেওয়ার সিরিজ এটি। প্রথম ম্যাচে সে কাজটা ভালোভাবেই করতে পেরেছেন আমিনুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ও নাঈম শেখরা। বাংলাদেশ দলকে অবশ্য আরও বড় প্রাপ্তি ডাকছে। ভারতের মাটিতে সিরিজ জেতার দারুণ সুযোগ এসেছে। দলের মুখপাত্র হয়ে আফিফ জানালেন, এখনই সিরিজ জেতা নিয়ে ভাবতে রাজি নন তাঁরা।
গতকালই দিল্লি থেকে রাজকোটে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। আজ রাজকোটের সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে নেমেছিল দল। অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন অলরাউন্ডার আফিফ। সেখানেই জানালেন রাজকোটেই সিরিজ মীমাংসা করে দেওয়ার সুযোগ নিয়ে ভাবছেন না তাঁরা, ‘সিরিজ জেতা বা হারার কথা ভাবছি না। আপাতত নিজেদের যার যার কাজে মনোযোগ রাখার চেষ্টা করছি। নিজেদের সেরা পারফর্ম করলে কী হবে সেটা পরে। আপাতত নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
সিরিজের ফল নিয়ে না ভাবলেও দল যে আগের তুলনায় অনেক আত্মবিশ্বাসী, সেটা সবাই বুঝতে পারছেন। ম্যাচের আগে উইকেটের চেয়েও বেশি আলোচনা হয়েছে দিল্লি শহর নিয়ে। দূষণের কারণে ম্যাচ হয় কি না, সে শঙ্কাও ছিল। একই মাঠে এর আগে সফররত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা বমি করে বের হয়েছিলেন। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কেমন হবে, তা নিয়েও তাই দুশ্চিন্তা ছিল। এমন পরিস্থিতে সব হিসাব উল্টে পাওয়া জয় যে দলকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে, সেটা স্বীকার করেছেন আফিফ, ‘ভারত চাপে কি না, তা বলতে পারব না। তবে প্রথম ম্যাচ জেতার পর আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী, ভালো অনুভূতি হচ্ছে। এটা আরও ভালো খেলতে সহায়তা করবে সামনে।’
২০১৮ সালেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এলেও এখনো দলের নবীন সদস্যদের একজন আফিফ। দলে আমিনুল ইসলামও মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই ভারতে এসেছেন। আর ওপেনার নাঈমের অভিষেক তো পরশুই হলো। আগের সব প্রতিপক্ষ বা ম্যাচগুলোর চেয়ে এ সিরিজকে এগিয়ে রাখছেন আফিফ নিজেই। কারণ, প্রতিপক্ষটা ভারত। অকপটে জানিয়েছেন বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলাটা তরুণদের জন্য কত প্রয়োজনীয়, ‘আগের চেয়ে অনেক আলাদা আসলে। প্রতিপক্ষ অনেক শক্তিশালী। এমন প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রথমবারের মতো খেলছি। এই জিনিসটা একটু আলাদা।’