রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে রাজধানীর গোপীবাগের নিজ বাসা থেকে খোকার মরদেহ ধুপখোলা মাঠে নেয়া হয়। সেখানে তার শেষ নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। জানাজায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সাদেক হোসেন খোকা বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিট নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিশেষায়িত হাসপাতালে মারা যান। মঙ্গলবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বাদ এশা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সরকারের সহযোগিতায় নিউইয়র্ক থেকে বৃহস্পতিবার সকালে খোকার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। কফিন গ্রহণ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সাদেক হোসেন খোকার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে খোকার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়। শহীদ মিনারে খোকার মরদেহে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহীদ মিনার থেকে খোকার মরদেহ নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেয়া হয়। সেখানে খোকার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে খোকার মরদেহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রাঙ্গণে নেয়া হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার চতুর্থ নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে খোকার মরদেহ গোপীবাগে খোকার নিজ বাসায় নেওয়া হয়। বাসায় কিছুক্ষণ রাখার পর তার মরদেহ ধুপখোলা মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে তার পঞ্চম নামাজের জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।