ব্যায়ামের আগে যা খাওয়া মানা

cola

খালি পেটে ব্যায়াম করা আর শরীরচর্চার আগে ভুল খাবার খাওয়া সমান ক্ষতিকর হতে পারে।

ব্যায়ামে ঠিক ফলাফল পেতে আগে শরীরকে সঠিক ও পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে। পেটে ক্ষুধা নিয়ে ব্যায়াম করা শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি কিছু খাবার আছে যা খাওয়াও ক্ষতিকর। শরীরচর্চার সময় পেট ফোলা মনে হলে, গ্যাসের সমস্যা অনুভব করলে কিংবা শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সেটার কারণ হতে পারে ব্যায়ামের আগে খাওয়া খাবারগুলো।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হল।

কোমল পানীয়: গরমের দিনে ব্যায়ামাগারে যাওয়ার পথেই হয়ত মনে হয় ‘কার্বোনেইটেড ড্রিংকস’ বা কোমল পানীয় পান করা কথা। কেউ কেউ ব্যায়ামে মাঝেও তা পান করেন, যা একেবারেই অনুচিত। ব্যায়ামের আগে কোমল পানীয় পান করার কারণে পেট ব্যথা কিংবা বমিভাব হতে পারে। আবার এই পানীয়গুলোয় প্রচুর পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত চিনি থাকে, যা নানান শারীরিক অস্বস্তি ডেকে আনবে। কোমল পানীয়ে পরিবর্তে দুতিন গ্লাস পানি পান করা ভালো। ঠাণ্ডা কিংবা কক্ষ তাপমাত্রার পানি। আর তৃষ্ণা তাড়াতে পানির মতো স্বস্তি অন্য কিছুতেই নেই।

দুধ

রাতে ঘুমানোর আগে একগ্লাস দুধ পান করা স্বাস্থ্যকর। তবে ব্যায়ামের আগে নয়। দুধ পান করার কারণে পেট ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে এবং ব্যায়াম করতে অস্বস্তি হতে পারে। দুধ ও সকল দুগ্ধজাত খাবার ব্যায়ামের পর খাওয়া ভালো। কারণ এতে থাকা চর্বি অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখবে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখবে।

শিমজাতীয় খাবার

 এই ধরনের খাবার হজম হতে লম্বা সময় প্রয়োজন হয়। কারণ এসবে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভোজ্য আঁশ। ব্যায়ামের আগে এই শিমজাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে ব্যায়াম করতে অস্বস্তি হবে।

ঝাল খাবার

ঝাল খাবার স্বভাবতই বুক জ্বালাপোড়া, পেট ব্যথা ইত্যাদি অস্বস্তি তৈরি করে। ব্যায়ামের আগে ঝাল খেলে এই অস্বস্তিগুলো হওয়া সম্ভাবনা আরও বাড়ে। আর শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে ব্যায়ামে মনোযোগ আসবে না।
Pin It