গাড়ি বন্ধ রেখে চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবি আদায়ের কৌশল নিয়েছেন পরিবহন নেতারা। আজ বুধবার সকাল থেকে পণ্যবাহী যানবাহনে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের মালিক-শ্রমিকরা। অঘোষিত ধর্মঘটে গতকাল মঙ্গলবার দেশের ২০ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভুগছেন যাত্রীরা। গতকাল রাজধানীতেও গণপরিবহন ছিল কম।
গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বাসায় তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহন নেতারা। তবে সমঝোতা হয়নি। পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি তারা। সমাধান খুঁজতে একই স্থানে আজ সন্ধ্যায় আবার বৈঠক হবে।
বিধিমালা প্রণয়ন না করেই গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করা হয় বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন। গত বছর নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশব্যাপী নজিরবিহীন আন্দোলনের ফলে করা হয় এ আইন। আইনে ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গে জরিমানা বেড়েছে হাজার গুণ পর্যন্ত। বেড়েছে কারাদণ্ডও। পরিবহন মালিক, শ্রমিকরা এতে অসন্তুষ্ট।
তারা আইনটিকে কঠোর আখ্যা দিয়ে সংশোধনের দাবি করে আসছেন। গত রোববার থেকে নতুন আইন প্রয়োগ শুরুর পরদিন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন, কোনো চাপে পিছু হটবেন না। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই ধর্মঘটের ডাক আসে।
ট্রাক ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে কাঁচা সবজিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেছেন, হঠাৎ ধর্মঘট গ্রহণযোগ্য নয়। এতে রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদিকে চট্টগ্রাম ব্যুরো জানিয়েছে, দুই হাজার গাড়ির বুকিং থাকলেও গতকাল বন্দরে যায় মাত্র ৪০০ গাড়ি।
জনদুর্ভোগ, বাজারে অস্থিরতার আশঙ্কার মধ্যেই গতকাল ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন পরিবহন আইন স্থগিতসহ ৯ দফা দাবিতে আজ সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকদের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিমানার বিধান ও দ নির্ধারণ করে যুগোপযোগী, বাস্তবসম্মত ও বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল আহমদ বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আজ সারাদেশ থেকে নেতারা আসার পর আবার বৈঠক হবে। কর্মবিরতিও চলবে। চালক-শ্রমিকরা গাড়ি চালাতে রাজি নয়। তাই কর্মসূচি প্রত্যাহার সম্ভব হয়নি।
তিন দফা দাবি নিয়ে গতকাল বিকেলে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে যান মালিক-শ্রমিক নেতারা। বিআরটিএ চেয়ারম্যান ড. কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। বৈঠক থেকে সমঝোতার আভাস মেলেনি।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, নতুন আইনে ৯২, ৯৫ ও ১০৫ ধারা জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। সব ধারা জামিনযোগ্য করা, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে চালকের জরিমানা পাঁচ লাখ থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা করা এবং দুর্ঘটনার তদন্তে শুধু পুলিশ নয়, দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। বিআরটিএ চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন, দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
ড. কামরুল আহসান বলেছেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পরিবহন নেতাদের অনুরোধ করেন। নেতারা সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তবে ওসমান আলী বলেছেন, পণ্যবাহী যানবাহনের কর্মবিরতির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই, কিছু করারও নেই।
পণ্যবাহী যানবাহনের মালিক-শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলনে রুস্তম আলী বলেন, তারা আইন প্রত্যাখ্যান করেননি, কিছু ধারার সংশোধন চান। আইন পাসের পরপরই তারা এসব ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছিলেন। সরকার আশ্বস্ত করলেও পরে বাস্তবায়ন করেনি।
দাবিনামা তুলে ধরে রুস্তম আলী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় চালক এককভাবে দায়ী নয়। সড়ক দুর্ঘটনাজনিত কোনো মামলায় চালক আসামি হলে তা জামিনযোগ্য হতে হবে। প্রকৃত দোষী চিহ্নিত করতে মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের তদন্তে যুক্ত করতে হবে। দুর্ঘটনার মামলায় মালিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনের পর ট্রাক-কভার্ডভ্যানের চালক শ্রমিকরা তেজগাঁওয়ে বিক্ষোভ করেন। তখন তারা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবি ভাঙচুর করেন। ট্রাকচালক হুমায়ুন কবির বলেছেন, দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে। এত টাকা ড্রাইভাররা কোথায় পাবে?
জেল-জরিমানার ভয়ে গতকাল রাজধানীর রাস্তায় বাস চলাচল ছিল কম। ফিটনেস হালনাগাদ না থাকা, চালকের নির্ধারিত শ্রেণির লাইসেন্স না থাকায় অনেক বাস পথে নামেনি। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। হিমাচল পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন মাসুদ বলেছেন, তার কোম্পানির বাসের সংখ্যা ৭০। চালক সংকটে বাস নামাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক কোম্পানিই বাস নামাতে পারছে না। তিনি জানান, অনেক চালক এত দিন হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স দিয়ে বাস চালিয়েছে। নতুন আইনে এ অপরাধে সর্বোচ্চ জরিমানা ২৫ হাজার টাকা। জরিমানার ভয়ে চালকরা বাসের চাবি নিচ্ছেন না।
একাধিক বাসচালক জানিয়েছেন, বছরের পর বছর ঘুরেও তারা মাঝারি ও ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ১২ বছর বাস চালানোর পরও অনেকে লাইসেন্স পাচ্ছেন না। জাকির হোসেন নামের এক চালক জানিয়েছেন, তিনি সাত মাস আগে মাঝারি গাড়ির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। পরীক্ষাও দিয়েছেন। কিন্তু বিআরটিএ তার লাইসেন্স দিচ্ছে না। জরিমানার ভয়ে বাস চালাতে পারছেন না। টাকার অভাবে পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন।
বিআরটিএ সূত্র জানিয়েছে, সংস্থাটিতে প্রায় ছয় লাখ লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়ে রয়েছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আবেদনের পর প্রায় এক বছর লেগে যায় লাইসেন্স প্রিন্ট দিতে। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না করা পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিআরটিএ। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা কাজীর আদালত কয়েকটি যানবাহনকে জরিমানা করেন। তিনি জানিয়েছেন, নতুন আইনে সর্বোচ্চ জরিমানা অনেক হলেও গতকাল ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেছেন। সবাইকে কাগজ হালনাগাদ করতে এ নমনীয়তা দেখানো হচ্ছে।
বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল বন্ধ :গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রাখেন শ্রমিকরা। পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ বাস বন্ধ করায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। অনেককে কাউন্টারে এসে বাস না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে ট্রেনে।
গতকাল সকাল ১০টায় খুলনার সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সেখান থেকে ঢাকাসহ কোনো রুটেই বাস ছাড়ছে না। অসংখ্য যাত্রী ব্যাগ নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। শওকত হোসেন নামের এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে রাজশাহী যাবেন; কিন্তু কোনো বাস ছাড়ছে না। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
সকাল ১১টায় খুলনা সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জেলা প্রশাসক জানান, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা আজ বাস চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মো. নুরুল ইসলাম বেবী ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে বাস চালানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করছে।
কুষ্টিয়ার শ্রমিক নেতা মাহবুব আলম জানান, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। তারা বাস চালাবেন। তবে সড়কে যাতে আপাতত কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য তিনি সংশ্নিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, মালিক ও শ্রমিকপক্ষ কথা দিয়েছেন গাড়ি চালাবেন।
খুলনা বিভাগের মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট ও নড়াইলে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ ছিল। পরিবহন ধর্মঘটে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, প্রতিদিন প্রায় এক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে মালপত্র পরিবহন করে থাকে। নতুন পরিবহন আইন কার্যকরের পর থেকে তা কমে দুইশ’তে নেমে এসেছে।
রাজশাহীর সব রুটে চললেও, বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে ওই পাঁচ জেলার বাস রাজশাহীতে আসেনি। রাজশাহী-ঢাকা রুটের বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলী জানান, রাজশাহী থেকে সব রুটেই বাস ছেড়ে গেছে। তবে কিছু কিছু জেলা থেকে বাস আসেনি। এ জন্য সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল। পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফিরোজ খান জানান, নতুন আইন সংশোধনের দাবিতে শ্রমিকরা নিজে থেকেই যান চলাচল বন্ধ করে দেন। তারা কোনো ধর্মঘট ডাকেননি।
ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকালে ঢাকা থেকে এবং ময়মনসিংহের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে কয়েকটি বাস ছেড়ে গেলেও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়ে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশনে যাত্রীর উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল গতকাল সকাল ১১টা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা দাবি করছেন, ধর্মঘট নয়, নতুন সড়ক আইন নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ থাকায় তারা বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিধান মাথায় নিয়ে শ্রমিকরা বাস চালাবেন না।
গতকাল সকাল থেকে মাদারীপুরের বিভিন্ন রুটে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। টেকেরহাটগামী সবুজ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি জানতাম না গাড়ি চলে না। এখন এসে বিপাকে পড়েছি। জরুরি কাজ থাকলেও আটকা পড়েছি। এর প্রতিকার হওয়া উচিত।’
পিরোজপুরের আন্তঃজেলা, পিরোজপুর-খুলনা ও পিরোজপুর-বরিশাল রুটে সকাল থেকে এবং বিকেল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস চলাচল ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভোগান্তিতে পড়া যাত্রী অনেকেই বাধ্য হয়ে ৫-৬ গুণ ভাড়ায় মাহিন্দ্র, ইজিবাইক, মাইক্রোবাসে যাতায়াত করেন।
দুপুর ১টা থেকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া-রাজৈর সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন চালকরা। উপজেলার ধারাবাশাইল গ্রামের বিধান অধিকারী বলেন, তিনি ঢাকায় থাকেন। জরুরি কাজে বাড়ি এসেছিলেন। ঢাকা ফিরতে উপজেলা সদরে বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন বাস বন্ধ। এখন গোপালগঞ্জ ঘুরে তাকে ঢাকা যেতে হবে। এ পথে ঢাকা যেতে প্রায় তিন ঘণ্টা বেশি লাগবে।