জয় নিয়ে সংশয় থাকার কোনো কারণই ছিল না। জয়ের ধরণটাও মোটামুটি প্রত্যাশিতই হলো। এসএ গেমস ক্রিকেটে ভুটানকে ১০ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। আনকোরা ভুটানকে অবশ্য কৃতিত্ব দিতেই হয় পুরো ২০ ওভার ব্যাট করায়।
কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে শুক্রবার ভুটান ২০ ওভারে ৭ উইকেটে তোলে ৬৯ রান। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ জিতেছে ওভারে ৬.৫ ওভারে।
আসরে বাংলাদেশের ছেলেদের টানা দ্বিতীয় জয় এটি। প্রথম ম্যাচে জয় এসেছিল আরেক দুর্বল দল মালদ্বীপের বিপক্ষে।
বল হাতে ১ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে অপরাজিত ৫০ রান করে ম্যাচের সেরা সৌম্য সরকার। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও বড় তারকার এমন পারফরম্যান্স স্বাভাবিকই।
ভুটান ব্যাটিংয়ে নেমেছিল টস জিতে। প্রথম উইকেট পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় নবম ওভার পর্যন্ত!
২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি। ১ চার ও ছক্কায় ২৯ বলে ১৫ রান করা স্টাম্পড হন তেনজিন ওয়াংচুক জুনিয়র।
আরেক ওপেনার জিগমে দর্জি ৩৭ বলে ১২ করে বোল্ড হন তানভির ইসলামের বাঁহাতি স্পিনে। এরপর দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল চারে নামা জিগমে সিঙ্গে (১৬ বলে ১৩)।
বাংলাদেশের চার বোলার নিয়েছেন একটি করে উইকেট। শেষ দিকে ২ উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার পেসার মানিক খান।
রান তাড়ায় বাংলাদেশ জিতেছে অনুমিত গতিতেই। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করার পাশাপাশি নিজের ফিফটি ছুঁয়েছেন সৌম্য। তার ইনিংসে ৫ চারের সঙ্গে ছিল ৩ ছক্কা। মোহাম্মদ নাঈম শেখ অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ১৩ রান করে।
আসরের পরের ম্যাচে শনিবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল, রোববার শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩। সোনার পদকের লড়াই সোমবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভুটান: ২০ ওভারে ৬৯/৭ (তেনজিন ওয়াংচুক ১৫, জিগমে সিঙ্গে ১৩, জিগমে দর্জি ১২; মেহেদি রানা ৪-০-১৮-১, মানিক ৪-০-৯-২, তানভির ৪-১-১৩-১, আফ্রিদি ৪-০-১৩-১, সৌম্য ৪-০-১৫-১)।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩: ৬.৫ ওভারে ৭৪/০ (নাঈম ১৬*, সৌম্য ৫০*)
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল ১০ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: সৌম্য সরকার