প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান বাদীর জবানবন্দি শুনে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে দারুস সালাম থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, দলটির মহানগর উত্তর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল সোহেল, জামায়াতে ইসলামীর রোকন ও শাহ আলী বাগদাদী কামিল মাদ্রাসার সাময়িক বরখাস্ত উপাধ্যক্ষ আফজাল হোসেন, মাদ্রাসার অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও আবদুল করিম, হাফেজ মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, আমিনুল হক বাবু এবং ফারুক আহমদ।
এর বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়। সেখানে মোট ৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, এ বি সিদ্দিকী গত ৬ ডিসেম্বর শাহ আলী মাজারের কাছে গেলে বিএনপি নেতা রবিউল আউয়াল সোহেলের ‘হুকুমে’ চার/পাঁচজন কর্মী নিজেদের আওয়ামী ওলামা লীগের লোক বলে পরিচয় দেয়। তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে রবিউল আউয়ালের অফিসে নিয়ে যেতে চায়।
এ বি সিদ্দিকী ঘটনা বুঝে ফেললে তারা হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
“বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাদের নেতা (তারেক রহমান) নির্দেশ দিয়েছেন, খালেদা জিয়া এবং সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ২১ অগাস্টের মত শেখ হাসিনার পরিবার এবং তার পরিবারের সদস্যদের আইএস দিয়ে খুন করা হবে।”