আগের চেয়ে ৬৭ শতাংশ দাম বেশি হওয়ায় ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও ২০ লাখ লেমিনেশন ফয়েল কেনার একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এখন একই দামে ওই প্রতিষ্ঠানে থেকেই সেগুলো কিনছে সরকার।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ ক্রয় প্রস্তাবে সায় দেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ভুল হিসাবের ভিত্তিতে ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তারা।
গত ২৭ নভেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠকে এ প্রস্তাব ফেরানোর পক্ষে কারণ দেখিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, “আইডি গ্লোবাল সলিউশনস লিমিটেডের প্রস্তাবিত দর আগেরবারের খরচের চেয়ে ৬৭ শতাংশ বেশি, প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
ওই সভা শেষে জানানো হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগকে আরও চার-পাঁচটি কোম্পানির সঙ্গে দর কষাকষি করে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ দর নির্ধারণ করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
এদিন সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বললেন, “এখন যে পরিমাণ পাসপোর্টের চাহিদা সেটা আমরা পূরণ করতে পারছি না। সারা বিশ্বে আমাদের যে দূতাবাসগুলো রয়েছে তাদের একটাই দাবি, তারা সময়মতো পাসপোর্ট পাচ্ছে না বা কম পাচ্ছে। আমরা যেভাবে হিসাব করেছিলাম, সেভাবে পাসপোর্ট তৈরি করে দিতে পারেনি।
“দ্রুত চাহিদা মেটাতে পুরনো প্রতিষ্ঠান আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেডের নিকট থেকে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছি। আমাদের পাসপোর্ট আরও প্রয়োজন। কিন্তু দ্রুত চাহিদা মেটাতে আমরা ২০ লাখ কিনছি। পাশাপাশি আমরা ই-পাসপোর্টে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছি।”
এসব পাসপোর্ট কেনায় খরচ হবে ৫৩ কোটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৭ টাকা।
কেন একই প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাবিত দামেই ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হল- প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “দাম বেশির বিষয়টি তারা ভুল বুঝিয়েছিল। আমরা হিসাব করেছিলাম একনেকে মূল যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছিল সেটি। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে এটার মূল্য বেড়েছে, ডিপিপি সংশোধন করা হয়েছে।
“মূল্যবৃদ্ধিসহ এখন যেটা হয়েছে সেটা হিসাব করতে হবে। কিন্তু আমরা ২৭ নভেম্বরের মিটিংয়ে ভুল করে একনেকে অনুমোদিত মূল্য হিসাব করেছিলাম।”
কবে থেকে ই-পাসপোর্ট চালু হবে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, “খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে।
“প্রথম দিকে দিনে ৫০০ ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে, পরে এটি বাড়িয়ে দুই হাজার করে দেবে বলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি জানিয়েছে।”