পরিবেশ রক্ষায় বড় নদীতে সেতুর বদলে মাটির তল দিয়ে টানেল বানানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সদরের এফআইভিডিবি মিলানায়তনে এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পদ্মা-যমুনায় বা বড় নদীতে আমরা আর সেতু নির্মাণ করতে চাই না।
“সেতু নির্মাণ হলে পলি পড়বে, নদী ভরাট হবে পরিবেশের ক্ষতি করবে।”
প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে চার লেইনের তিন দশমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ এ ট্যানেলের খনন কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই কর্ণফুলির নদীর তল দিয়ে সাত কিলোমিটার টানেল নির্মাণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা ভাবনায় রয়েছে যমুনার উত্তর মাথায় আরেকটি টানেল নির্মাণ করার-যা কুড়িগ্রাম ও জামালপুরের মধ্য দিয়ে যাবে।
বিশ্বের উন্নত দেশে অনেক দীর্ঘ টানেল থাকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই টানেলের নিচ দিয়ে পরিবহন চলে, উপর দিয়ে নদী বহমান রয়েছে।
এতে পরিবেশের ‘সব কিছুই ঠিক থাকে‘ বলেন তিনি ।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে সবার জন্য পুষ্টি বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
এর আগেও পরিকল্পনা মন্ত্রী যমুনা নদীর উত্তরের টানেল বাস্তবায়নে দ্রুত কাজ হচ্ছে বললেও এরজন্য ব্যয় নির্ধারণ না হওয়ায় বিস্তারিত কিছু বলেননি।